শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:০৪ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট ॥ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক পরিস্থিতি আরও অবনতি ঘটবে। বুধবার দুপুর ২টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল জানান, নির্বাচন কমিশনের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নির্বাচনের নির্দিষ্ট রোডম্যাপ পাওয়া যায়নি, যা দলটির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তিনি বলেন, “আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি—আমাদের কাট-অফ টাইম ডিসেম্বর। এর মধ্যে নির্বাচন না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন, নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে হতে পারে। এ কথা আমাদের অসন্তুষ্ট করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের সমাধানে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে, বিশেষ করে ডিসেম্বরের মধ্যে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হওয়া আবশ্যক। না হলে জনগণের মধ্যে হতাশা ও উদ্বেগ আরও বাড়বে এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।”
বিএনপির মহাসচিব আরও জানান, বৈঠকে দলের ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। এই দলে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার কাছে নির্বাচন সংক্রান্ত বিস্তারিত রোডম্যাপ চায় এবং নির্বাচন-সংক্রান্ত সংস্কার ও কার্যকর পরিকল্পনা দ্রুত গ্রহণের আহ্বান জানায়।
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করেছি, কিন্তু এখনো পর্যন্ত নির্বাচনের নির্দিষ্ট সময়সূচী বা রোডম্যাপ উপস্থাপন করা হয়নি। এই অনিশ্চয়তা দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে তুলবে।”
তিনি আরও জানান, বিএনপি একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পক্ষে এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়া সংস্কারে তারা পূর্ণ সহযোগিতা করছে। দলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন গঠনমূলক প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যত বৈঠকে আরও স্পষ্ট আলোচনা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা চাই জনগণ তাদের মত প্রকাশের অধিকার ফিরে পাক। নির্বাচন বিলম্বিত হলে এর মারাত্মক প্রভাব পড়বে দেশের অর্থনীতি, সামাজিক স্থিতিশীলতা এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ওপরও। তাই এখন সময় দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার।”
Leave a Reply