রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০০ অপরাহ্ন
ভোলা প্রতিনিধি:ভোলা সদর উপজেলায় জমি-জমা বিরোধের জের ধরে আপন ভাই ও ভাবীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে।রোববার (১৪ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৮টার দিকে উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের চরনোয়াবাদ চৌমুহনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত রাবেয়া আক্তার বর্তমানে ভোলা সদর হাসপাতালের মহিলা সার্জারী ওয়ার্ডের অতিরিক্ত-১০ নং বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত রাবেয়া আক্তারের স্বামী ফরিদ আহমেদ জানায়, তার ক্রয়কৃত সম্পত্তি নিয়ে আপন ছোট ভাই ফিরোজ আহমেদ জুয়েল ও পরিবারের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ কারনেই তার ছোট প্রায় সময়ই তাকে ও তার স্ত্রীকে মারধর এবং তার ঘরে ভাংচুর চালিয়ে আসছে। ছোট ভাই ফিরোজ বেশীরভাগ সময়ে নেশাগ্রস্ত থেকে ঘরে এসে হামলা ও মারধর করে বলেও জানান ফরিদ। এদের অত্যাচারে সে নিজের বাসা রেখে ভোলা শহরে ভাড়া বাসায় থাকেন।
সর্বশেষ রবিবার দিবাগত রাতে ফরিদ ও তার স্ত্রী রাবেয়া আক্তার তাদের চরনোয়াবাদ এলাকার বাসা দেখতে গেলে ছোট ভাই ফিরোজ আহমেদ জুয়েল ও মাইনুদ্দিন মালসহ ৪/৫ জন মিলে ঘরে ঢুকে মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা ফরিদের স্ত্রী রাবেয়া আক্তারের গলা ও কান থেকে স্বর্ণের চেইন ও দুল নিয়ে যায়। এবং তাদেরকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে ঘরে তালা লাগিয়ে দেয় জুয়েল ও তার সহযোগীরা।
ফরিদ আহমেদ আরও জানায়, তার ছোট ভাই জুয়েলকে এর আগে বিদেশ পাঠিয়েছে। কিন্তু নেশা ও বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের জন্য দুবাই ও সিঙ্গাপুর থেকে জেল খেটে দেশে চলে আসে। দেশে আসার পর সে আবারও নেশাগ্রস্থ হয়ে পরে। কিন্তু তার পরও সে বিভিন্ন সময়ে ফরিদের ঘর দখল করার জন্য স্থানীয় বখাটেদের নিয়ে বেশ কয়েকবার হামলা ও ভাংচুর চালিয়েছে। এ নিয়ে ভোলা থানায় দুইটি মামলাও হয়েছে। কিন্তু এর পরও এলাকার কিছু বখাটেদের নিয়ে ফিরোজ আহমেদ জুয়েল বড় ভাই ফরিদের ক্রয়কৃত জমি দখল করতে এ হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়েছেও বলেও অভিযোগ করেন ফরিদ আহমেদ। এ ঘটনায় ভোলা থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত ফিরোজ আহমেদ জুয়েল অভিযোগ অস্বিকার বলেন, আমি রবিবার তাদের উপর কোনো হামলা করিনি। ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছগির মিঞা বলেন, ফরিদ আহমেদ ও ফিরোজ আহমেদ জুয়েল এরা দুই ভাই প্রায়ই মারামারি করে। তবে গত কালকের ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply