সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৮ অপরাহ্ন
আমতলী প্রতিনিধি।। বরগুনার আমতলী উপজেলায় ক্রমাগত বেড়েই চলেছে নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা। গত ২৩ দিনে প্রায় ৭৫ জন শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে।
এ দিকে, উপজেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হাসপাতালে নিউমোনিয়ার এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন নেই। ফলে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন হাসপাতাল থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে না। এতে অভিভাবকদের বাজার থেকে এন্টিবায়োটিক কিনে আক্রান্ত শিশুদের পুশ করতে হচ্ছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নসহ চাওড়া, হলদিয়া ও কুকুয়া ইউনিয়নে নিউমোনিয়ার প্রকোপ বেশি দেখা দিয়েছে। সরকারিভাবে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৫ জন হলেও বেসরকারিভাবে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দুই শতাধিক ছাড়িয়ে গেছে বলে স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে। এর মধ্যে গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুরা গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে।
সরেজমিনে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনে দেখা যায়, নাচনাপাড়া গ্রামের রাবেয়া বেগমের ৩ মাসের শিশুপুত্র হামিম, চাওড়া লোদা গ্রামের নাহার বেগমের ৪ মাস বয়সী শিশুকন্যা তাইয়্যেরা ও চাকামাইয়া গ্রামের সাইদুর রহমানের এক মাস বয়সী শিশু তামিম নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত পাঁচ দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ সময় তামিমের বাবা সাইদুর রহমান বলেন, ‘গত পাঁচ দিন ধরে ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা নিচ্ছি। কিন্তু হাসপাতাল থেকে কোনো এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন দিচ্ছে না। নিউমোনিয়ার এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন বাজার থেকে কিনতে হচ্ছে।’
অপরদিকে হামিমের মা রাবেয়া বেগম বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে শুধু সুঁই ছাড়া আর কিছুই পাচ্ছি না। সকল ধরনের ওষুধও বাজার থেকে কিনতে হচ্ছে।’
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শংকর প্রসাদ অধিকারী দৈনিক অধিকারকে জানান, বৈরি আবহাওয়াজনিত কারণে এখন নিউমোনিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন সংকটের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, হাসপাতালে বর্তমানে এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন নেই, তবে সিরাপ রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন আনা হবে বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply