রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০৮ পূর্বাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি॥ বরগুনার আমতলীতে হলদিয়া গ্রামের কৃষকে বাঁচাতে কাউনিয়া খালের বাঁধ কাটলেন সদ্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক। এতে জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পেয়েছে দুই গ্রামের ১০ একর কৃষি জমি।
শুক্রবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিকের উপস্থিতিতে উৎসুক কৃষকেরা বাঁধ কেটে ফেলেন। উপজেলা কৃষি অফিসার সিএম রেজাউল করিম সরেজমিনে কাউনিয়া খালের বাঁধ পরিদর্শনে গিয়ে ওই বাঁধ কেটে কৃষকদের জমি রক্ষার সুপারিশ করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হলদিয়া ও গুরুদল গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত কাউনিয়া খান। খালটিতে ১০ বছর ধরে স্থানীয় প্রভাবশালী নান্নু মোল্লা অবৈধভাবে ৫টি স্থানে বাঁধ নির্মাণ ও একটি কালভার্টের মুখে জাল দিয়ে আটকে মাছ চাষ করছেন। ফলে খালের স্বাভাবিক পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে ভারি বৃষ্টিপাতের সময় তীব্র জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। জলাবদ্ধতার কারণে প্রায় ১০ হাজার একর জমির চাষাবাদ বন্ধ থেকে অনাবাদী থাকার আশঙ্কায় দেখা দেয়।
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) ভুক্তভোগী কৃষকরা সরকারি খালের বাঁধ অপসারণ কৃষককে বাঁচাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামানের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে উপজেলা কৃষি অফিসার সিএম রেজাউল করিমকে নির্দেশ প্রদান করেন।
ভুক্তভোগী কৃষক শাহ আলম, মোবারক হাওলাদারসহ একাধিক কৃষকরা জানায়, কাউনিয়া খালের সকল বাঁধ কেটে দেওয়ার জমি চাষাবাদে তাদের আর কোন সমস্যা নেই। বাঁধ কাটায় পানি নেমে যাওয়ায় কৃষকদের মাঝে আনন্দের বন্যা বইছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার সিএম রেজাউল করিম বলেন, ভুক্তভোগী কৃষকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে তদন্ত করে কাউনিয়া খালের বাঁধ কেটে দেওয়ার সুপারিশ করি। ওই সুপারিশের ভিত্তিতে হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে শতাধিক কৃষক বাঁধ কেটে দিয়েছেন। বাঁধ কেটে দেওয়ার জমি চাষাবাদে কৃষকদের আর কোন সমস্যা রইলো না।
হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক বলেন, উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে শতাধিক কৃষক নিয়ে কাউনিয়া খালের ছয়টি বাঁধ কেটে জমি চাষাবাদের ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
Leave a Reply