শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২২ অপরাহ্ন
কামরুজ্জামান রানা//
শীত আসার আগেই বাজারে আসতে শুরু করেছে মৌসুমী সবজি। শীতের সবজি বলে এখন আর বিশেষ কোনো সবজি বোঝায় না, শীতের বেশ কিছু সবজি এখন বছরের অন্যান্য সময়েও পাওয়া যায়। কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, কৃষির উন্নতির কারণে সারা বছরই সব সবজি মিলছে। এখনকার বেশির ভাগ সবজির আবাদ আগে হয়েছে। এগুলোর বেশির ভাগই অপরিপুষ্ট। টমেটো, শশা, শিম, গাজর, কুমড়া, কাচা মরিচ, কহি, বাধাকপি, পেপে, কাচা কলা, বেগুন সারা বছরের সবজি হিসেবেই পাওয়া যাচ্ছে। এর বাইরে শীতের সবজি হিসেবে বাজারে শিম, মৌউসি শিম, লাউ, ফুলকপি, মুলা, জলপাই, পেয়াজ পাতা, পুই শাক, দাঁড়া শাক, লাউ শাক, পালং শাক, লাল শাক বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। তবে দাম অনেক চড়া।
এত সবজির সমারোহ দেখে চোখ জুড়ালে কি হবে, ঝলক দিয়ে ওঠা এই দৃষ্টি মুহূর্তেই নিভে যায় দাম শুনে। বাজারভেদে দামেরও হের-ফের রয়েছে। তাই ক্রেতাদেরও অভিযোগের কমতি নেই। যদিও বিক্রেতারা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলছেন, শীতকালীন সরবরাহ এখনো বাজারে আসেনি। নগরীর বড় বাজার, বটতলা বাজার, নথুল্লাবাদ কাঁচাবাজার ও নতুন বাজার সহ একাধিক বাজার ঘুরে দেখা গেছে বিভিন্ন ধরনের শীতের সবজি নিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। শিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ টাকা থেকে ১২০, লাউ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ফুলকপি ৭৫-৮০ টাক, লতি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, মুলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পুই শাক প্রতি কেজি ৪০ টাকা, দাড়া শাকের আটি ২০ থেকে ২৫ টাকা, লাউ শাক ২৫ থেকে ৩০ টাকা, পালং শাক ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, লাল শাক ৪০ থেকে ৪৫ টাকা বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।
এছাড়া কাচা মরিচ প্রতি কেজি ৮০ টাকা, বাধাকপি ৩০ টাকা, টাকা, লেবুর হালি ২০ টাকা থেকে ৪০ টাকা, শশা ৬০ টাকা, কুমড়া ৪০ টাকা, টমেটো ১১০ থেকে ১২০ টাকা, জালি কুমড়া ৫০ টাকা, ধনিয়া পাতা প্রতি কেজি ১২০থেকে ২৪০ টাকা, কাচঁ কলা হালি প্রতি ২০ টাকা। শীতের নতুন আলু বাজারে আসেনি এখনো। বিক্রেতারা জানালেন, মাস খানিকের মধ্যেই নতুন আলুও বাজারে পাওয়া যাবে।
এদিকে পাইকারি বাজারের সঙ্গে খুচরা বাজারে দামের বেশ ভিন্নতা পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, খুচরা বাজারের মধ্যেও পাশাপাশি দোকানের সবজির দামে হের-ফের দেখা গেছে।
বিক্রেতাদের দাবি, বেশি দামে সবজি কিনতে হচ্ছে। এ কারণে তাঁরা ক্রেতাদের কাছে দাম বেশি রাখছেন। কয়েকজন সবজি বিক্রেতা জানালেন, কিছু দিনের মধ্যেই সরবরাহ বাড়বে। তখন দাম অনেক কমে আসবে।
Leave a Reply