মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪২ অপরাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি॥ সুপার সাইক্লোন আম্পান প্লাবনে ডুবিয়েছে বরগুনাকে। উপকূলীয় বেড়িবাঁধ মেরামত না করায় বরগুনা সদর উপজেলার তেঁতুলবাড়িয়া, গুলশাখালী, কাঁটাখালী, গোলবুনিয়া, বড় লবণঘোলা, বুড়িরচর ও ডালভাঙ্গা, পাথরঘাটার কাকচিরা, নিমতলা, চরদুয়ানী ও রুহিতাভাঙ্গন বামনা উপজেলার দক্ষিণ রামনা, পূর্ব শফিপুর ও বেবাজিয়ার খাল, বেতাগী উপজেলার কেওয়াবুনিয়া, কালিকাবাড়ি, সরিষামুড়ি ও বদনিখালী এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।
ঘূর্ণিঝড় সিডর, আইলা, মহাসেন, বুলবুল, আম্পান বারবার ক্ষতবিক্ষত করলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবল থেকে বরগুনাবাসীকে রক্ষায় বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা মেরামত করা হয়নি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ২২টি পোল্ডারের ৯০৫ কিমি. বেড়িবাঁধের প্রায় ৬০০ কিমি. কিছু অংশে মেরামতের নামে চলছে সরকারি অর্থ অপচয়।
কয়েক বছর ধরে জোড়াতালি দিয়ে কোনোরকম মেরামত কাজ চলছে। এই ভাঙা বেড়িবাঁধই এখন বরগুনাবাসীর মরণফাঁদ। ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে, জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ার মাঝেই দিনাতিপাত করছে উপকূলবাসী। বরগুনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি সঞ্জীব দাস জানান, বরগুনায় বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও মেরামতের সময় তা যথেষ্ট উঁচু করে নির্মাণ করা হয়নি।
যেকারণে সামুদ্রিক জোয়ার, জলোচ্ছ্বাসে ফসলি জমি ও লোকালয় প্লাবিত হচ্ছে। ১নং বদরখালী ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ ইলিয়াস আহমেদ স্বপন বলেন, বেড়িবাঁধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্লুুইসগেটগুলোর অধিকাংশই কার্যত অচল। লবণ পানির অনুপ্রবেশ বন্ধ করা, জলাবদ্ধতার সময় পানি নিষ্কাশন করছে না।
সংযোগ খালগুলো নাব্য নেই। ওয়াশ এসডিজি নাগরিক কমিটির সহ-সভাপতি মনির হোসেন কামাল বলেন, নাব্য হারানোর কারণে বিষখালী ও পায়রা নদীর দুই তীরে ভয়াবহ ভাঙন সৃষ্টি করছে। যার কবলে কাকচিড়া, ঢলুয়া, নিশানবাড়িয়া, বুড়িচরসহ ৩০০ কিমি. বেড়িবাঁধ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কাউছার আলম জানান, আম্পানে ২২টি পোল্ডারের বিভিন্ন এলাকার ২১ কিমি. বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মেরামতের জন্য ১৯ কোটি টাকার বরাদ্দ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। মানুষের ভোগান্তি ও লবণাক্ততার থেকে ফসল রক্ষায় কিছু কিছু এলাকায় কাজ শুরু হয়েছে।
Leave a Reply