যে কোনো সময় খালে পড়ে যেতে পারে তালতলীর ব্রিজটি Latest Update News of Bangladesh

বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০৪ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




যে কোনো সময় খালে পড়ে যেতে পারে তালতলীর ব্রিজটি

যে কোনো সময় খালে পড়ে যেতে পারে তালতলীর ব্রিজটি




আমতলী প্রতিনিধি॥ বরগুনার তালতলী উপজেলার বড়বগী ইউনিয়ন ও সোনাকাটা ইউনিয়নের মধ্যবর্তী সংযোগ খালের ওপর নির্মিত লোহার ব্রিজটির মাঝের অংশ ভেঙে আটকে আছে। এ অবস্থায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন দুই ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ, পর্যটক ও শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, গত ২০ জানুয়ারি সকালে ব্রিজের মাঝের অংশ হঠাৎ পশ্চিম পাশ দেবে যায় এবং ভেঙে আটকে থাকে। এতে ব্রিজের ওই অংশটি যে কোনো সময় খালে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দুই পাড়ের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করার জন্য ১৯৯১-৯২ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৩২ ফুট দৈর্ঘ্যের এই সংযোগ লোহার ব্রিজটি নির্মাণ করে।

সরেজমিনে দেখা যায়, তালতলী খালের দুই পারে সওদাগরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কবিরাজপাড়া নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয় (কারিগরি), হরিনখোলা দাখিল মাদরাসা ও কবিরাজপাড়া এইচএম মারকাজুল কুরআন মাদরাসাসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।

প্রতিদিন এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় হাজারো শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ ঝুঁকি নিয়ে এ ব্রিজ দিয়ে চলাচল করে আসছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে ঘুরতে আসা পর্যটকরা পর্যটন এলাকা গৌয়ামতলা, ইকোপার্ক, শুভসন্ধ্যা সমুদ্র সৈকতে যেতে এ ব্রিজটি ব্যবহার করেন। ঝুঁকি নিয়ে এ ব্রিজটি পারাপার হওয়ায় যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

সওদাগরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কবিরাজপাড়া নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (কারিগরি) শিক্ষার্থীরা বলেন, ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় এখন আমাদের স্কুল ও মাদরাসায় যেতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। আমরা ভয়ে ভয়ে আসা-যাওয়া করি। কখন দুর্ঘটনা ঘটে তা বলা যায় না।

স্থানীয় ব্যবসায়ী ও কৃষকরা জানান, ব্রিজটি প্রায় ভেঙে পড়ায় আমরা কৃষিপণ্য নিয়ে সময়মতো বাজারে যাতায়াত করতে পারি না। আমাদের বিকল্প পথে ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার পথ ঘুরে তালতলী উপজেলা সদর হয়ে যাতায়াত করতে হয়। এতে সময় ও খরচ দুটোই বেশি হচ্ছে। সোনাকাটা ইউপি চেয়ারম্যান সুলতান ফরাজী মুঠোফোনে বলেন, ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার প্রায় হাজারো শিক্ষার্থীসহ দুই ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের চলাচল করতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। তাই ব্রিজটি দ্রুত নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয় উপজেলা প্রকৌশলী আহম্মেদ আলী জানান, ব্রিজটি দেবে ভেঙে পড়ার খবর শুনে তা পরিদর্শন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করি দ্রুত এখানে একটি নতুন লোহার ব্রিজ নির্মাণ করতে পারব।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD