একি বললেন নাদিরা : দায় চাপালেন সাংবাদিকদের কাঁধে Latest Update News of Bangladesh

শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:৩২ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




একি বললেন নাদিরা : দায় চাপালেন সাংবাদিকদের কাঁধে

একি বললেন নাদিরা : দায় চাপালেন সাংবাদিকদের কাঁধে




ঝালকাঠি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার মো. শাহ আলমের স্ত্রীর মর্যাদা না পেয়ে ভবনের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টাকারী তরুণী নিজের অবস্থান পাল্টেছেন। তিনি বলছেন, চেয়ারম্যান সরদার মো. শাহ আলম তার বাবার বয়সী। একটি মহল ষড়যন্ত্র করে তাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে।এমনকি একটি ভিডিওতে তিনি দাবী করেছেন, সাংবাদিকদের উল্টাপাল্টা প্রশ্নের জবাব দিতে না পেরে এমন কাজ করেছেন।

ফারজানা ববি নাদিরা নামের তরুণী গত বুধবার সাংবাদিকদের কাছে বলেন, ‘ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার মো. শাহ আলমের সঙ্গে তাকে জড়িয়ে মিথ্যা নাটক সাজানো হয়েছে। তিনি জেলার সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি, আমার পিতৃতুল্য এবং রাজনৈতিক অভিভাবক। আমাদের নিয়ে মিথ্যা রটানো হয়েছে। আমরা একটি মহলের ষড়যন্ত্রের শিকার।’

তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের বিচারও দাবি করেন।

এ বিষয়ে সরদার মো. শাহ আলম বলেন, ‘নাদিরা আমার মেয়ের চেয়েও ছোট। সে জেলা পরিষদের আইসিটি শাখায় কাজ করে, এর বেশি কিছু না।’

তিনি বলেন, ‘গত ১১ জুলাই বুধবার জেলা পরিষদে যে ঘটনা ঘটেছে, তা অনাকাঙ্ক্ষিত। আমি একটি মহলের ষড়যন্ত্রের শিকার। আমার সম্মান নষ্ট করতেই নাদিরাকে ব্যবহার করা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, গত বুধবার দুপর ১২টার দিকে নাদিরা জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান সরদার শাহ আলমের কক্ষে অবস্থান নিয়ে তাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে থাকেন। এ খবর পেয়ে বিকেল তিনটার দিকে পরিষদে গিয়ে তার স্ত্রী শাহানা আলম নাদিরাকে মারধর করেন।

এক পর্যায়ে নাদিরা দৌঁড়ে জেলা পরিষদের দ্বিতীয় তলার ছাঁদে উঠে লাফ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এ সময় স্থানীয় কিছু যুবক ও যুবলীগ নেতারা নাদিরাকে নিবৃত্ত করেন। তবে নাদিরা জ্ঞান হারিয়ে মেঝেতে পড়ে যান। পরে তাকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতালে বসে নাদিরা সাংবাদিকদের জানিয়েছিল, তিনি ঝালকাঠি জেলা পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করেন। এই সুবাধে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মো. শাহ আলমের সঙ্গে তার বিশেষ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

তার অভিযোগ, সরদার মো. শাহ আলম গত তিন বছর ধরে তাকে স্ত্রীর মতো ব্যবহার করলেও আইনগতভাবে মর্যাদা দিচ্ছিলেন না। বিয়ে করার জন্য চাপ দিলেও উপেক্ষা করছিলেন।’

নাদিরা আরও বলেন, ‘তিনি (শাহ আলম) আমাকে ভোগের সামগ্রী বানালেন। স্ত্রীর মর্যাদা পাওয়ার জন্য আমি প্রয়োজনে আইনের আশ্রয় নেব।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD