রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৩ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশালে হাই কোর্ট থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত ৫২টি পণ্যের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে ব্যবসায়ীদের রোশানলে পড়তে হয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানিক দলকে। অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে ব্যবসায়ীরা তাদের দোকান পাট বন্ধ করে ফেলেন। এমনকি কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ রাখার খবরও পাওয়া গেছে।
আজ মঙ্গলবার (২১ মে) নগরীর বাজার রোড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। যদিও ব্যবসায়ীদের রোশানল অথবা দোকান-পাট বন্ধ রাখার ঘটনা সত্য নয় বলে দাবী করেছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। বরং অভিযান চালিয়ে চারটি প্রতিষ্ঠানকে ৪২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
নগরীর বাজার রোডের ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন আহমেদ মিলন জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর বরিশাল কার্যালয় বাজার রোড ও হাটখোলা পেয়াজ পট্টিতে অভিযান পরিচালনা করেন। বিষয়টি টের পেয়ে ব্যবসায়ীরা দোকান-পাট বন্ধ করে দেন।
ব্যবসায়ীরা বলেন, রোজার শুরু থেকে প্রতিদিনই কখনো জেলা প্রশাসন আবার কখনো ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান চালাচ্ছে। এর ফলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এজন্য ব্যবসায়ীরা দোকান-পাট বন্ধ করে প্রতিবাদ জানান। তখন ব্যবসায়ীদের রোশানলে পড়ে অভিযান সমাপ্ত না করেই ঘটনাস্থল হতে চলে যান ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
তবে ব্যবসায়ীদের দেয়া তথ্য সঠিক নয় বলে দাবী করেছেন জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর বরিশাল জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শাহ শোয়াইব মিয়া। তিনি বলেন, ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুমি রাণী মিত্র’র নেতৃত্ব আমরা হাইকোর্ট থেকে নিষিদ্ধ করা ৫২টি পণ্যের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করি।
এতে সহযোগিতা করেন সিটি কর্পোরেশন, মৎস্য বিভাগ ও এপিবিএন-১০ এর সদস্যরা। অভিযান চলাকালে ব্যবসায়ীক নেতৃবৃন্দ আমাদের সাথে কথা বলতে আসেন। এসময় তাদের নিয়ে একটি দোকানের মধ্যে বসে নিষিদ্ধ ৫২টি পণ্য নিয়ে আলোচনা করি। তখন অন্যান্য ব্যবসায়ীরা দোকানের বাইরো জড়ো হওয়ায় দুর থেকে মনে হয়েছে ওই স্থানে কোন ঝামেলা হয়েছে।
শাহ শোয়াইব মিয়া বলেন, আমরা বাজার রোড ও হাটখোলা এলাকার কাচাবার, মৎস্য বাজার, মসলার বাজার সহ বিভিন্ন দোকানে অভিযান করি। এর মধ্যে ৪টি দোকান থেকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী ৪২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
এর মধ্যে মেসার্স অনিল চন্দ্র সাহা স্টোর্সকে ১০ হাজার টাকা, মুক্তা ট্রেডার্সকে ৫ হাজার টাকা, নিউ আলম স্টোর্সকে ২ হাজার টাকা ও টাটা ফুডপ্রডাক্টসকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
Leave a Reply