শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন
আদালত প্রতিবেদক ॥ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে হিজলার স্বামী পরিত্যক্তা যুবতীকে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করার অভিযোগ মুলাদীর মোবাইল প্রেমিক সাইফুল সরদার ও তার বন্ধু হুমায়ূন সিকদারের বিরুদ্ধে মামলা দাযের করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণের শিকার যুবতী মামলাটি দায়ের করেন।
ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ আবু শামীম আজাদ নগরীর ২২, ২৩ ও ২৪নং ওয়ার্ড সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরকে মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণের নির্দেশ দেন। অভিযুক্ত সাইফুল মুলাদীর চর কমিশনার এলাকার রশিদ ওরফে হিরো সরদারের ছেলে এবং হুমায়ূন একই এলাকার আঃ খালেক সিকদারের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হিজলার হরিনাথপুর এলাকার স্বামী পরিত্যক্তা যুবতীর সাথে সাইফুলের মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের সুবাদে সাইফুল যুবতীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকায় তার আত্মীয় বাসায় নিয়ে যায়।
সেখানে স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে গত ৭ মাস ধরে যুবতীকে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে সাইফুল। যুবতী সাইফুলকে বিভিন্ন সময় বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে বরিশাল আদালতের মাধ্যমে তাকে বিয়ে করার কথা বলে। সাইফুল যুবতীকে নিয়ে বরিশাল আসে।
পরে সে যুবতীকে নিয়ে স্বামী স্ত্রীর পরিচয়ে নগরীর ২৩নং ওয়ার্ড পশ্চিম কাউনিয়া এলাকায় বেল্লাল হাজীর বাসা ভাড়া বাসায় ওঠে ও তাকে ধর্ষণ করা অব্যহত রাখে। যুবতী বিয়ের কথা বললে সাইফুল টালবাহানা করে। ঘটনার দিন গত ১১ জুলাই রাতে সাইফুল পুনরায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করতে চাইলে যুবতী তাকে বিয়ে করার কথা বলে বাধা দেয়।
এসময় সাইফুল তার বন্ধু হুমায়ুূনের সহায়তায় যুবতীকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় কাউনিয়া থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ মুলাদী থানায় মামলা করার পরামর্শ দেয়। মুলাদী থানা কর্তৃপক্ষ যুবতীকে আপোষ মিমাংশার প্রস্তাব দেয়।
এছাড়া স্থানীয় চেয়ারম্যান মন্টু বিশ্বাসসহ অন্যান্য গণমান্য ব্যক্তি ও মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশ আইন সহায়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশন (বাসক) ঢাকা কার্য্যালয়ে প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন যুবতী। সেখানে প্রতিকার না পেয়ে গতকাল ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করলে বিচারক ওই নির্দেশ দেন।
Leave a Reply