রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৮ অপরাহ্ন
ভোলা প্রতিনিধি॥ ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে বুধবার মধ্যরাত থেকে ফের জাল নিয়ে মাছ ধরায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে ভোলার জেলেরা। তবে জেলেরা মাছ শিকারে নদীতে নামলেও তারা আশানুরূপ ইলিশ পাচ্ছেন না। ফলে তারা হতাশ হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি বেমি দাম দিয়ে ইলিশ কিনতে হচ্ছে ক্রেতা এবং আড়তদারদের।
সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন মাছঘাট ঘুরে দেখা গেছে, একের পর এক নৌকা নিয়ে জেলেরা ঘাটে আসছে। রাতভর মাছ শিকার করে কাঙ্খিত ইলিশ না পাওয়ায় মাছ বিক্রি করেও লোকশান গুনতে হচ্ছে তাদের। আর যে ইলিশ ধরা পড়ছে এর মধ্যে এখনও ৩০ শতাংশ মা ইলিশ রয়েছে। এসব মাছের দামও আকাশছোঁয়া।
এ সময় তুলাতলী মাছঘাট এলাকার জেলে শফিক মাঝি সাথে কথা হয়। তিনি জানান, তার ৮ জন ভাগিদারসহ ৬ হাজার টাকার তেল ও খাবার নিয়ে নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। জাল ফেলে যে মাছ পেয়েছেন তা বিক্রি করে খরচ বাদ দিয়ে ২০০ টাকা ভাগে পড়েছে। একই কথা বলেছেন রতন মাঝি ও হোসেন মাঝি।
ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা মাছ ঘাটের ব্যবসায়ী জামাল জানান, এখন এক কেজি বা ১১০০-১২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের হালি ৪ হাজার থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকা, ৭০০-৮০০ গ্রামের ইলিশ ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকা এবং ৩০০ থেকে ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকায় ঘাটে বিক্রি হচ্ছে। এ দামের ইলিশ কেনা সাধারণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে থাকলেও কিছু করার নেই। মাছ কম, তাই দাম বেশি। আর কম ইলিশ থাকায় মাছঘাট ও আড়তগুলো এখনও সরব হয়ে ওঠেনি বলে জানান তিনি।
ভোলা সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, এ বছর জেলেদের সচেতনতা ও ভিজিএফএর চাল ঠিক সময়ে বিতরণ করায় মা ইলিশ রক্ষার অভিযান প্রায় শতভাগ সফল হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে নদ-নদীতে ইলিশ ধরার ওপর গত ১৪ অক্টোবর থেকে সরকারের এই নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়। এ সময়টাতে ইলিশ পরিবহন, বিক্রি ও মজুদ নিষিদ্ধ ছিল। সরকারিভাবে নিবন্ধিত জেলেরা নিষেধাজ্ঞাকালীন ২০ কেজি করে চাল পেলেও এ কয়টা দিন পরিবার-পরিজন নিয়ে অভাব-অনটনে কেটেছে জেলেদের সংসার।
Leave a Reply