রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:০৬ অপরাহ্ন
সুমন খান, স্বরুপকাঠী ॥ অপরাধীকে আশ্রয় প্রশয় দেওয়ার ঘটনার গোমড় ফাস হয়ে যাওয়ায় মাদ্রাসার প্রভাষকের নোংড়া রাজনীতি করার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে । স্থানীয় সোহাগদলের ৯ নং ওয়ার্ডে এলাকাবাসীরা গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান,গত ২০-০৩-২০১৮ ইং তারিখে মাদ্রাসার দুই ছাএ মাদ্রাসার হুজুরের রুমে প্রবেশ করে তিনটি মোবাইল ও সাত হাজার টাকা নিয়ে যায়।
ঘটনার এক পর্যায়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ঐ কমিটিতে বর্তমান সভাপতি সারেংকাঠীর জনপ্রিয় চেয়ারম্যান মোঃ সায়েম সন্মতি নেওয়া হয়। কমিটিতো মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক মেম্বর মোঃ আইউব আলী ও মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মোঃ মুনিরুজ্জান,মাওলানা সহিদুল ইসলাম ছিলেন। কমিটির সহ সহকারী প্রিন্সিপাল মুনির ও সাবেক মেম্বর, মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আইউব আলী ও মাওঃ সহিদুল ইসলাম মাদ্রাসার ছাএ মেহেদী(১৮) ও মোঃ মহিবুল্লাহ(১৮) কে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এদিকে কমিটির প্রধান সহ সাবেক মেম্বর বুদ্বি খাটিয়ে পৃথক পৃথক ভাবে জিজ্ঞাসা করেন। এক পর্যায়ে বেএাঘাতও করেন আসল ঘটনা উৎঘাটন করার জন্য।
ঘটনার এক পর্যায়ে মেহেদী টাকা ও মোবাইল চুরির কথা অকপটে স্বীকার করেন। আর এহেন সকল জবান বন্দী রেকর্ডিং করা হয়।এরপর মহিবুল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় কিন্তু প্রাথমিক ভাবে অস্বীকার করেন। পরে মেহেদীর রেকর্ডের কথা শোনার পর সকল ঘটনার কথা বলেন। আর টাকা ও মোবাইল মাদ্রাসার বোডিং সুপার মোঃ হাবিবুল্লাহ স্যারের কাছে জমা আছে। এদিকে সমগ্র ঘটনার বিষয়ে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মশিউর সহ প্রভাষক হাবিবুর রহমান নিজেদের অপরাধ ঢাকতে নুতন করে নোংডা রাজনীতি শুরু করেন। জামাতের রাজনীতির সুএ ব্যবহার করে সমগ্র ইন্দেরহাট বন্দর গরম করে ফেলে। আর বলির পাঠা বানায় মুক্তিযোদ্বা ও সাবেক মেম্বর আইউব আলীকে। মাদ্রাসা কতৃপক্ষ নিজেদের বাচাতে পাল্টা মাদ্রাসা ছাএকে বেধম মারধর করার অভিযোগ তোলেন মেম্বর ও কমিটির বিরুদ্বে।মুহুর্তের মধ্যে প্রভাষক ও প্রিন্সিপাল সত্য ঘটনা ও নিজেদের অপরাধ ঢাকার জন্য ভুল তথ্য দিয়ে এলাকার লোকদের উত্তেজিত করে তোলে। এমনকি সাবেক এমপি কেও ভুল তথ্য দিয়ে কান ভারি করে। এদিকে নোংডা রাজনীতির কলকাঠী নাডেন মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ও প্রভাষক হাবিবুর রহমান। আহত ছাএকে চিকিৎসার জন্য ২২ হাজার টাকা প্রদান করেন কিন্তু আহত ছাএকে নিয়ে অতি মাএার বাড়াবাড়ি এক পর্যায়ে প্রহশনে পরিনত হয় বিজ্ঞ মহলের কাছে। এলাকার বিমান ডাক্তার প্রাথমিক ট্রিটমেন্ট করেন। সে সময়ে ছাএের অবস্থা সন্তোষ জনক ছিল।
কিন্তু মুক্তিযোদ্বা সহ বাকী দুইজনকে ফাসানোর জন্য আদার জল খেয়ে ষড়যন্ত্র করে মাদ্রাসার একটি চক্র। রোগীকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করেন তরিগড়ি করে। এরপর এই চক্র অতি উৎসাহী হয়ে বরিশাল শেবাচিমেও নিয়ে ভর্তি করান। অথচ মাএ একদিন পর রোগীকে রিলিছ করে দেয় বিভাগীয় ডাক্তারগন। এখন প্রশ্ন কেন এই বাড়াবাড়ি। কাকে বাচানোর জন্য এই জাতীয় নাটক। জামাত শিবিরের আদলে নোংড়া রাজনীতি করে মাদ্রাসার প্রভাষক হাবিবুর রয়েছে চরম বিতর্কে। আর নিজেদের অপরাধ ঢাকতে এত কিছুর নাটক। এলাকার জনগনের প্রানের দাবী ঘটনার বিষয়ে পুনরায় সুষ্ঠ বিচারের প্রত্যাশা সোহাগদলবাসীর। পাশাপাশি জামাত শিবিরের আদলে নোংড়া রাজনীতি করার দায়ে প্রভাষক হাবিবের কঠিন বিচার চায়।
Leave a Reply