শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৩ পূর্বাহ্ন
বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৪) ধর্ষণ করা হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনাটি যেন কাউকে জানাতে না পারে সে জন্য নির্যাতিত স্কুলছাত্রীর বাড়ি পাহারা দিচ্ছে ধর্ষক ও তার সহযোগীরা।
বরিশালের মুলাদী উপজেলার দক্ষিণ গাছুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের ঘটনার আটদিন অতিবাহিত হলেও ঘর থেকে বের হতে পারছে না ভুক্তভোগী ছাত্রী ও তার মা।
ধর্ষক ও তার সহযোগীরা প্রভাবশালী হওয়ায় দরিদ্র নির্যাতিতার পরিবারকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে। ফলে বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে স্কুলছাত্রী। অভিযুক্ত মামুন উপজেলার চরকালেখান ইউনিয়নের দক্ষিণ গাছুয়া গ্রামের বাবুল মিয়া ওরফে খাটো বাবুলের ছেলে।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, মামুন ভাড়ায় মোটরসাইকেলে যাত্রী আনা নেয়া করে। কিছুদিন আগে সৈয়দেরগাঁও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের যাওয়ার পথে সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রীর ওপর মামুনের কুনজর পড়ে।
গত ২৮ জুলাই ওই ছাত্রী স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে মোটরসাইকেলে তুলে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায় মামুন। সেখানে তাকে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়। পরদিন সকালে স্কুলছাত্রীকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় মামুন।
বাড়ি ফিরে মামুনের হাতে ধর্ষণের বিষয়টি মাকে জানায় স্কুলছাত্রী। ওই দিন বিকেলে মামুন ও তার সহযোগী সিদ্দিক, রুবেল, শহীদ, সুমন ওই স্কুলছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে না জানাতে হুমকি দেয়। পুলিশকে জানালে ওই ছাত্রী ও তার মাকে গলা কেটে হত্যা করে নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হবে বলেও হুমকি দেয়া হয়।
এ অবস্থায় ঘটনার আটদিন অতিবাহিত হলেও ধর্ষক ও তার সহযোগীদের ভয়ে স্কুলছাত্রীর পরিবার পুলিশকে জানানো তো দূরের কথা স্থানীয় কাউকে বিষয়টি জানাতে সাহস পায়নি। সেইসঙ্গে ঘরবন্দি হয়ে রয়েছে তারা।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বলেন, প্রতিরাতেই ধর্ষক মামুন ও তার সহযোগীরা বাড়ির আশেপাশে অবস্থান করে পাহারা দেয়। আমরা তাদের নজরবন্দি। বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। তাদের হুমকিতে ঘর থেকে বের হতে পারছি না।
এ বিষয়ে সৈয়দেরগাঁও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও গাছুয়া ইউপির চেয়ারম্যান মোকছেদ আলম মীর বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। বর্তমানে আমি ঢাকায়। এলাকায় ফিরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
বিষয়টি জানতে চাইলে মুলাদী থানা পুলিশের ওসি জিয়াউল আহসান বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। বিষয়টি নিশ্চিত হতে ওই এলাকায় পুলিশ পাঠিয়ে খবর নেয়া হবে।
Leave a Reply