রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৭ অপরাহ্ন
ভোলা প্রতিনিধি॥ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এবং সাবেক শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ২০১৮ সালের আজকের এই দিনে সংসদ নির্বাচন হয়েছিলো অবাধ এবং নিরপেক্ষ। সেই নির্বাচনে ১৯৭০ সালের মত আমরা ব্যাপকভাবে বিজয়ী হয়েছি। বিএনপি দোটানায় ছিলো নির্বাচন করবে কি করবে না। বিএনপির সেই ভুলের রাজনীতি এখনো করে চলেছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি যদি বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিতো তাহলে আজকে তাদের এই করুণ অবস্থা হতো না।
তোফায়েল আহমেদ বুধবার বেলা ১২টায় শহরের বাংলা স্কুল মাঠে সরকারের ২ বছর পূর্তি ও গণতন্ত্র রক্ষা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে টেলিকনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গত পরশু দিন দেশে প্রথম ধাপে অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানুষ ৬৫ শতাংশ ভোট প্রদান করেছে এই নির্বাচনে। সামনের পৌর নির্বাচনগুলোও অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
প্রবীণ এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন। তিনি এই করোনাকালেও যেভাবে গরিব-দুখী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন যা অকল্পনীয়।
তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পদ্মা সেতুর স্বপ্ন দেখেছিলেন। আর তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা ব্রিজ দৃশ্যমান করে সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেক দিন মিটিং করেন, মানুষের সাথে কথা বলেন।
জাতির পিতার ঘনিষ্ঠ এই সহচর ভোলার বিভিন্ন উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে আরো বলেন, ইতোমধ্যে আমরা ভোলার নদী ভাঙন বন্ধ করার আপ্রাণ চেষ্টা করে সফল হয়েছি। ভোলা-বরিশাল সেতুর কাজ অচিরেই শুরু করা হবে। ভোলা থেকে চরফ্যাসন পর্যন্ত সড়কের উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে। দুর্গম চারাঞ্চলেও বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে গেছে।
জেলা আওয়ামী লীগ’র আয়োজনে সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি মো. দোস্ত মাহমুদ। আরো বক্তব্য দেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবদুল মমিন টুলু, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. মোফারেফ হোসেন, পৌর মেয়র মো. মনিরুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম নকিব, এনামুল হক আরজু, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইউনুছ হাজী।
পরে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এর আগে বিভিন্ন ইউনিয়ন ও শহরের ৯টি ওয়ার্ড থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল এসে বাংলা স্কুল মাঠে এসে যোগদান করে। কিছু সময়ের জন্য পুরো শহর মিছিলের শহরে রূপ নেয়।
Leave a Reply