সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৫ অপরাহ্ন
ভোলা প্রতিনিধি॥ ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় পৃথকভাবে অষ্টম শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রী (১৩) ও বিধবা (৩৫) এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে ধর্ষিতারা ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ধর্ষিতাদের পরিবারের সদস্যরা জানায়, বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) রাতে বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা ইউনিয়নের মাদ্রসাছাত্রীকে বাড়িতে রেখে তার মা বাবার বাড়িতে বেড়াতে যায় এবং বাবা নদীতে মাছ ধরতে যায়। এ সুযোগে একই এলাকার আব্দুল রশিদের ছেলে মো. সোহাগ ছাত্রীকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় ছাত্রীর বাবা মাছ শিকারের পর বাড়িতে আসলে মেয়ের চিৎকার শুনতে পায়। এ সময় ধর্ষক তার বাবাকে মারধর করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ধর্ষিতার বাবা শুক্রবার বিকালে বোরহানউদ্দিন থানায় মামলা দায়ের করেন।
অন্যদিকে একই উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ফুল কাচিয়া গ্রামের বিধবা এক নারী শুক্রবার দিবাগত রাতে তার মুরগীর খামারের খাবার দিতে যায়। সেখানে একই এলাকার মাদকসেবী মাকসুদ, ছালাউদ্দিন ও আলমগীর বিধবা নারীর মুখ চেপে হাত-পা বেঁধে গণধর্ষণ করে। পরে সকালে স্থানীয়রা তাকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে ধর্ষিতার বড় বোন বোরহানউদ্দিন থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।ভোলা সদর হাসপাতালের সিনিয়র নার্স সারজিনা জানান, ধর্ষিতাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে বোরহানউদ্দিন থানার ওসি মো. এনামুল হক জানান, মাদ্রাসাছাত্রী ধর্ষণের বিষয়ে ওই ছাত্রীর বাবা ৩ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছে। এছাড়া অন্য ধর্ষণের ঘটনায় থানায় এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। তবে এ বিষয়ে আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply