সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ১২:০২ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥ বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের বাজারে মে মাসে কিছুটা স্বস্তি এসেছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত মাসে খাদ্যপণ্যের দাম গড়ে ০.৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
বিশ্ববাজারে পণ্যমূল্য ওঠানামা স্বাভাবিক হলেও এ মাসে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন দেখা গেছে উদ্ভিজ্জ তেল ও চিনি বাজারে। উদ্ভিজ্জ তেলের দাম ৩.৭ শতাংশ কমেছে। যদিও এই দাম এখনো ২০২৪ সালের তুলনায় প্রায় ১৯ শতাংশ বেশি। পাম, রেপসিড, সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেলের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং যুক্তরাষ্ট্রে এসব তেলের চাহিদা হ্রাসের কারণে বাজারে এই পতন দেখা গেছে।
চিনির দামও কমেছে ২.৬ শতাংশ। এফএও বলছে, খাদ্য ও পানীয় প্রক্রিয়াজাত শিল্পে চাহিদা কমে যাওয়া এবং বৈশ্বিক বাণিজ্যের অনিশ্চয়তা এর জন্য দায়ী।
শস্যজাত পণ্যের দাম মে মাসে ১.৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। বিশেষ করে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলে ভুট্টার ভালো ফলন এবং গমের চাহিদা কমে যাওয়াই এই পতনের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে। তবে ইন্দিকা চালের চাহিদা বৃদ্ধি এবং ডলারের দরপতনের কারণে চালের দাম সামান্য বেড়েছে। তবুও সামগ্রিক খাদ্যসূচকের ওপর এর প্রভাব ছিল খুবই সামান্য।
বিপরীতে, মে মাসে মাংসের দাম ১.৩ শতাংশ বেড়েছে। গরু, খাসি ও শূকরের মাংসের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে এ দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। জার্মানিতে পা ও মুখের রোগের নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়ার পর দেশটিতে শূকরের মাংসের চাহিদা বেড়েছে। তবে বার্ড ফ্লুর আশঙ্কায় মুরগির মাংসের বাজারে ধস নেমেছে।
দুগ্ধজাত পণ্য যেমন মাখন, পনির ও গুঁড়া দুধের দামও বেড়েছে। মে মাসে এসব পণ্যের গড় দাম বেড়েছে ০.৮ শতাংশ। বিশেষ করে এশিয়ার দেশগুলোতে মাখনের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজারে প্রভাব পড়েছে।
বিশ্বব্যাপী চলমান অর্থনৈতিক চাপের মধ্যে এ মূল্যপ্রবণতা কিছুটা আশার আলো দেখাচ্ছে, তবে বাজারে স্থিতিশীলতা আসতে আরও সময় লাগতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সূত্র : ইউএনবি
Leave a Reply