বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসা বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। তাদের সহযোগিতার জন্য বিমানবন্দরে হেল্পডেস্ক খোলা হবে। আগামী ১৫ ডিসেম্বরের পর তাদের তালিকা চূড়ান্ত করা হবে।
আজ মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলমের সভাপতিত্বে সভায় নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য বিদেশি পর্যবেক্ষকদের নিরাপত্তা, আবাসন সেবাসহ সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়।
সভায় যে সকল বিদেশি নিজেদের খরচে আসবেন, তাদের জন্য ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন এবং আমন্ত্রিতদের জন্য ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধনের সুযোগ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের জানান, আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে সামনে রেখে কত সংখ্যক বিদেশি সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক ও আমন্ত্রিত অতিথি আসছেন, তা চূড়ান্ত হবে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে। ওই সকল বিদেশির নিরাপত্তার পাশাপাশি যারা নিজ খরচে আসবেন; তারা কোন হোটেলে থাকবেন, কোন এলাকায় পর্যবেক্ষণে যাবেন সে সকল বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে এ সভা করা হয়েছে।
সভায় বিমান মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকলে উপস্থিত ছিলেন।
ইসি সচিব বলেন, এ সভার মূল উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচন কমিশনের যে বৈদেশিক পর্যবেক্ষক নীতিমালা আছে, তা অনুসরণ করে যারা নিজ খরচে পর্যবেক্ষণ করতে চান তাদের আগমন এবং ইসি থেকে যাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, সেই আমন্ত্রিত অতিথিদের একটি নিরবচ্ছিন্ন সেবা দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ। বিদেশিদের জন্য বিমানবন্দরে একটা হেল্পডেস্ক স্থাপন করা হবে। যাতে সহজেই ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে নির্ধারিত হোটেলে যেতে পারেন অতিথিরা।
সংশ্লিষ্ট হোটেলগুলোতেও নির্বাচনসংক্রান্ত তথ্যের জন্য হেল্পডেস্ক থাকবে। সভায় হোটেলগুলোর নাম চূড়ান্ত হয়েছে। হঠাৎ অসুস্থ হলে স্বাস্থ্যসেবার বিষয়টি আলোচনা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম জানান, ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার ৮৭ জন পর্যবেক্ষক ভোট পর্যবেক্ষণের জন্য আবেদন জানিয়েছেন। আর ৩৮টি দেশ ও চারটি সংস্থাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
কতজন আসবেন, কোন ক্যাটাগরির আসবেন, সেটা চূড়ান্ত হওয়ার পর নিরাপত্তাব্যবস্থার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। কারণ অতিথি প্রধান নির্বাচন কমিশনার হলে এক রকম আর সচিব হলে আরেক রকম হবে। আবার নির্বাচন কমিশনার হলে নিরাপত্তা এক রকম হবে।
কাজেই কারা আসবেন, তা না জানা পর্যন্ত নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। তবে তাদের নিরাপত্তাসহ সব ব্যবস্থাই সুন্দরভাবে করা হবে।
Leave a Reply