রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৯ পূর্বাহ্ন
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি॥ বরগুনার তালতলী উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের তালুকদারপাড়া গ্রামে একটি মাছের ঘেরে দুর্বৃত্তদের দেওয়া বিষে ১০ লাখ টাকার মাছ নিধন করার অভিযোগ উঠেছে। ধারণা করা হচ্ছে বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতের কোনো এক সময় এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের তালুকদারপাড়া গ্রামের বাসিন্ধা অসুস্থ ও অসহায় চাঁন মিয়ার মিয়ার স্ত্রী হেলেনা বেগম ৩ বছর পূর্বে ৬ কাঠা জমি লিজ নিয়ে ১ লাখ টাকা ঋণ এনে মাছ চাষ করেন। কিছুদিন পূর্বে ওই জমির মালিক তাকে ওই লিজকৃত জমি ছেড়ে দিতে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। বর্তমানে মাছগুলো বিক্রির উপযোগী হওয়ায় তা বাজারজাত করার জন্য ঘের মালিক হেলেনা বেগম আর অল্প কিছুদিন সময় চান জমির মালিকের কাছে। এনিয়ে স্থানীয়ভাবে বেস কয়েকবার শালিশ দরবার হয়েছে।
এরই মধ্যে গতকাল (বৃহস্পতিবার) গভীর রাতে কে বা কাহারা তার ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে। শুক্রবার সকালে তিনি তার মাছের ঘেরে গিয়ে দেখেন চাষকৃত বিভিন্ন প্রজাতির মাছগুলো মরে ভেসে উঠেছে। তবে ঘের মালিকের সন্দেহ একই এলাকার কামাল শিকদার ও হারুন আকন নামের ওই ব্যক্তিরা বিষ প্রয়োগ করে তার ঘেরের মাছ নিধন করছেন।
হেলেনা বেগম বলেন, তার স্বামী চান মিয়া গুরুতর অসুস্থ থাকায় তিনি কোনো কাজকর্ম করতে পারেন না। এই মাছের ঘেরের মাছ বিক্রির টাকা দিয়েই ঋণের কিস্তি ও আমাদের সংসার চালাতে হয়। বর্তমানে ঘেরে বিষ প্রয়োগ করায় মাছগুলো মরে ভেসে উঠেছে। এই মরা মাছগুলো বাজারে বিক্রি করা যাবে না। আমার ঘেরে ১০ প্রজাতির মাছ ছিল যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১০ লক্ষ টাকা।
এ বিষয়ে স্থাণীয় কামাল সিকদার তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। স্থানীয় জালাল হাওলাদার, রুহুল আমিনসহ একাধিক এলাকাবাসী বলেন, ঘের মালিক হেলেনার কান্নাকাটি শুনে আমরা ঘটনাস্থলে এসে দেখি ঘেরে চাষ করা বিভিন্ন প্রজাতির মাছগুলো সব মরে ভেসে উঠেছে। তারা এই জঘন্য কাজের সাথে যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানান।
ইউপি সদস্য নূর-আলম মুন্সী বলেন, ওই বৃদ্ধ দম্পতি নিতান্তই গরিব। এই মাছের ঘেরটির আয় দিয়েই তাদের সংসার চালায়। তাদের এমন ক্ষতি যারাই করেছে তিনি তাদের বিচার দাবি করেন।
তালতলী থানার পরিদর্শক (ওসি) মো. কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ঘের মালিক হেলেনা বেগম এ বিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply