মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৪ পূর্বাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি॥ বরগুনার আমতলী খাদ্য গুদামের বস্তা থেকে পাইপ দিয়ে ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস চাল চুরি করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. সারোয়ার মাহমুদ খাদ্য গুদাম পরিদর্শন শেষে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। তদন্ত কমিটি শনিবার তদন্ত কাজ শুরু করেছেন।
জানা গেছে, আমতলী খাদ্য গুদামে দুই হাজার ৩০১ টন ৬৮৪ কেজি চাল মজুদ রয়েছে। ওই চালের বস্তা থেকে খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের সহায়তায় পাইপ দিয়ে চাল চুরি করে আসছিল। এভাবে প্রতি বস্তা থেকে তিন-চার কেজি চাল সরিয়ে ফেলা হতো এমন অভিযোগ গুদাম শ্রমিকদের।
পাইপ দিয়ে চাল চুরির একটি ভিডিও ফুটেজ বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে মানুষের মাঝে ব্যপক হইচই ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনাটি খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. সারোয়ার মাহমুদের নজরে আসে।
শুক্রবার রাতে তিনি খাদ্য গুদাম পরিদর্শনে আমতলী আসেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন- বরগুনা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. নুর হোসেন স্বজল, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. ফারুক হোসেন, ইউএনও মো. আসাদুজ্জামান ও আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান।
গুদাম পরিদর্শন শেষে মহাপরিচালক পটুয়াখালী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. লিয়াকত হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। শনিবার তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে।
তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- পটুয়াখালী সদর খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিএম সফিকুল ইসলাম ও বরগুনা সদর খাদ্য নিয়ন্ত্রক দ্রুত মণ্ডল। তদন্ত কমিটি আমতলীর চারটি খাদ্য গুদাম সিলগালা করে দিয়েছেন।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাইপ দিয়ে চাল চুরির ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস তার লোকজন দিয়ে চুরি করা চালের বস্তায় চাল ভর্তি করেছেন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
Leave a Reply