রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন
পাথরঘাটায় প্রতিনিধি॥ বরগুনার পাথরঘাটায় স্বামীর হাত-পা বেঁধে লেপে মুড়িয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ২ মাস পেরিয়ে গেলেও মামলা হয়নি। ভুক্তভোগী ওই দম্পতি ন্যায় বিচারের আশায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অভিযোগ রয়েছে, ইউপি চেয়ারম্যানের প্রভাবে মামলা নিচ্ছে না পুলিশ। তবে পুলিশ বলছে, এমন ঘটনা নিয়ে কেউ থানায় অভিযোগ নিয়ে আসেনি।
বুধবার সকাল ১০ টায় ভুক্তভোগী নারী পাথরঘাটায় সাংবাদিকদের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। এর আগে গত ১১ মার্চ দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টার দিকে উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের ছোনবুনিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।সুত্র,ডেইলি-বাংলাদেশ ডটকম
অভিযুক্তরা হলেন, কালমেঘা ইউনিয়নের একই গ্রামের মো. আফাং মৃধার ছেলে ফোরকান, ছোনবুনিয়া গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে রেজাউল ও মোস্তফা গাজীর ছেলে কাইউম।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, বেশ কয়েক মাস আগে থেকে ভুক্তভোগী নারী ওই এলাকায় বসবাস করছেন। ওই এলাকা নির্জন হওয়ায় স্থানীয় কিছু বখাটে প্রায়ই মাদক সেবন করে আসছিল। তাদের ঘরের সামনে মাদক সেবনে নিষেধ করলে তারা কিছুদিন পরে গভীর রাতে ভুক্তভোগী নারীর ঘরে ঢুকে স্বামীর হাত-পা বেঁধে লেপ দিয়ে মুড়িয়ে রেখে স্ত্রীকে ঘরের মধ্যে থাকা দেশীয় অস্ত্র ‘দা’ গলায় ধরে গণধর্ষণ করেন।
ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, ওই দিন গভীর রাতে তাদের ঘরের সামনে এসে ডাক দিয়েই ঘরের মধ্যে ঢুকে গামছা দিয়ে স্বামী খলিলুর রহমানের হাত-পা বেঁধে ফেলেন এবং লেপ দিয়ে মুড়িয়ে তার উপর বসে থাকে ৩ বখাটে। পরে একে একে ৩ জনই তাকে ধর্ষণ করেন।
ভুক্তভোগী নারীর স্বামী খলিলুর রহমান জানান, ঘটনার সময় চিৎকার দেয়ার চেষ্টা করলে আমার ঘরে থাকা দা দিয়ে হত্যা করার হুমকি দেন। তারা চলে গেলে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের জানাই। তারা আমার স্ত্রীকে বাজারের মধ্যে ডেকে নিয়ে বিচার করতে চাইলে আমি অস্বীকৃতি জানাই। কারণ আমার স্ত্রীকে বাজারের মধ্যে নিয়ে বিচার করতে চাই না।
আমি বাজারে না গেলে সাবেক ইউপি সদস্য সোহবার হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত সব যুবকদের বলেন, ‘সবাই ধর্ষণ করবি এবং সালিশে জরিমানা করে দিবো, সব শেষ হয়ে যাবে।’ পরে পাথরঘাটা থানায় গেলে তারা একাধিকবার আমাদের বাড়িতে এসে তদন্ত করলেও কোনো মামলা নেয়নি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত কাইউম মোবাইলে বলেন, ধর্ষণের বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। তবে সোহরাব ডেকেছিল প্রতিপক্ষ না আসায় সালিশ বৈঠক হয়নি। অভিযুক্ত ফোরকানের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য তার বাড়িতে গেলে তার স্ত্রী বলেন, অন্যায় করলে শাস্তি পেতেই হবে।
কালমেঘা ইউনিয়নের সোহরাব হোসেন জানান, ধর্ষণের বিচার করার এখতিয়ার আমাদের কারোর নেই। তবে তাদেরকে ডেকেছিলাম তারা আমার অফিসে না আসায় কোনো সালিশ হয়নি।
পাথরঘাটা থানার ওসি শাহাবুদ্দিন বলেন, ঘটনার পর আমরা সরেজমিনে গিয়েছি। ধর্ষণের স্থান যেখানে দেখানো হয়েছে ওই যায়গায় তিনজন মিলে একজনকে ধর্ষণ করার সুযোগ দেখা যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের সত্যতা পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply