রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:১৮ অপরাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিনিধি ॥ ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাহিত্যিক অধ্যক্ষ মো. ইসমাইল হোসেন এতিমখানা অনিয়মের অভিযোগে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে। সরকারি নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে ৩৮ জন এতিম এই প্রতিষ্ঠানে বসবাস করছে, কিন্তু অনুসন্ধানে দেখা গেছে মাত্র ৮–১০ জন শিশু সেখানে অবস্থান করছে।
প্রতিবছর এই এতিমখানার নামে বরাদ্দ হয় প্রায় ৯ লাখ ১২ হাজার টাকা। নিয়ম অনুযায়ী, বরাদ্দ পাওয়া এতিমদের দ্বিগুণ সংখ্যক ছাত্র থাকা বাধ্যতামূলক হলেও তা নেই। স্থানীয়দের অভিযোগ, কাগজপত্রে দেখানো এতিমদের বেশিরভাগই বাস্তবে নেই, অথচ বরাদ্দের অর্থ নিয়মিত তোলা হচ্ছে।
একজন বাবুর্চি জানিয়েছেন, “আমি প্রতিদিন সর্বোচ্চ সাতজনের জন্য রান্না করি। কিন্তু কাগজে নাম দেখানো হয়েছে ডজনখানেকের।”
এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, এতিমদের নামে আসা টাকা ব্যয় হচ্ছে প্রশাসনিক খরচ, ভবন নির্মাণ এবং বেতন মেটাতে। শিশুদের খাবার, পোশাক কিংবা শিক্ষায় ব্যয় করা হচ্ছে খুবই সামান্য।
একজন অভিভাবক বলেন, “বেশিরভাগ সময় ভবন ফাঁকা থাকে। অথচ কাগজে দেখানো হয় সব শিশু এখানে থেকে পড়াশোনা করছে।”
এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল জানান, এতিম সংখ্যা কম থাকার বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান দাবি করেন, “ছাত্ররা নিয়মিত থাকে না, অনেক সময় বাড়ি চলে যায়। তাই বর্তমানে সংখ্যা কাগজে থাকা সংখ্যার চেয়ে কম।”
সচেতন মহলের দাবি, প্রকৃত এতিমদের অধিকার রক্ষায় তদন্ত সাপেক্ষে দায়ীদের শাস্তির আওতায় আনা হোক। একইসাথে এতিমখানার অর্থ ব্যবহারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
Leave a Reply