রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৭ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ১১ই এপ্রিল বরিশালের বেশ কয়েকটি স্থানীয় দৈনিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে ” কাশীপুরে বঙ্গবন্ধুর ছবি নিয়ে নুরুর রাজনীতি” শিরোনামে অনুসন্ধানি প্রতিবেদন- প্রকাশের পর এবার প্রতিবেশী আওয়ামী পরিবারকে ফাসাঁতে গিয়ে নিজেই ফেসে যাচ্ছেন হঠাৎ আওয়ামী বনে যাওয়া নূরুল ইসলাম। অনুসন্ধানি সংবাদ প্রকাশ করতে গিয়ে স্থানিয়দের পক্ষ থেকে জানাযায়- নূরুল ইসলাম কখনই আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলনা।
বরং স্থানিয় সাধারন জনগন ও স্থানীয় আওয়ামী রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত বেশ কয়েকজন নেতা প্রতিবেদককে জানিয়েছেন- নুরুল ইসলাম এবং তার পরিবার কখনই আওমীলীগের নয়, তবে বিএনপি-জামায়াত সমর্থক ছিলেন। অপরদিকে যে পরিবারটিকে (নুরুল হাসান পারভেজ’র) নুরুল ইসলাম ফাঁসাতে চেয়েছেন, সেই পরিবারের প্রতিটি সদস্য বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারন করে বড় হয়েছে। এমনকি তার পিতা সাবেক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা চাকুরি থেকে অবসর নিয়েই ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের আমৃতু্য সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
কেন নুরুল হাসান পারভেজের পরিবারকে বার বার মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে এর কারন অনুসন্ধান করতে গেলে স্থানিয় বেশ কয়েকজন প্রতিবেশি জানিয়য়েছেন, মামলায় উল্লেখিত সেই শহিদ মিনার ভেঙ্গেছিলো নুরুল ইসলামের একমাত্র ছেলে বাবু । যা তাদের ভাড়াটিয়া কুলসুম বেগম সহ অন্যান্য প্রতিবেশিরা দেখেছে বলে জানান। চতুর নুরুল ইসলাম সম্প্রতি ঐ পরিবারকে ফাসাঁনোর জন্য তার দায়ের করা মামলার ৩ নং সাক্ষী ফাতেমাকে দিয়ে তাদের (পারভেজের) বাসার সামনে ড্রেনের উপর ছোট একটি হোটেল বানিয়ে আগুন দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছিলো, এমন তথ্যের কথা জানতে পেরে পারভেজের পরিবারের পক্ষ থেকে এয়ারপোর্ট থানায় মৌখিক অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওসি’র নির্দেশে গত ১৫ই এপ্রিল এস.আই আজমল এসে ঐ ছোট হোটেলটি ভেঙ্গে দেয়। স্থানিয় কয়েকজন প্রতিবেশি জানান, এয়ারপোর্ট থানার ওসি ব্যাবস্থা গ্রহন না করলে আরো একটি ষরযন্ত্র মূলক মামলার অবতারনা ঘটতো। সংবাদ প্রকাশের পর নুরুল ইসলাম অনেকটাই ঘড়মুখি হয়ে আছেন। এ বিষয়ে ইছাকাঠি এলাকার বাসীন্দা ও নলছিটি সরকারি কলেজের প্রভাষক জিয়া হায়দার সুমন জানান- এটা আমার কাছে সম্পূন্য একটি ষড়যন্ত্রের মতো মনে হয়।এদিকে ভুক্তভুগি নুরুল হাসান জানান- আমার পরিবারের প্রতিটি সদস্য উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত এবং দেশ বিদেশের বিভিন্ন স্থানে সুনামের সহিত কর্মরত।দৃর্ঘ ১৮ বছর পর সৌদি আরবে কর্মজীবন শেষ করে দেশে আসা মাত্র প্রতিবেশী নুরুল ইসলাম খান ও তার গংদের কাছ থেকে ধারাবাহিক ভাবে জীবন নাশের হুমকি সহ মিথ্যা মামলা ও হামলার মতো ঘটনা ঘটবে তা আমি স্বপ্নেও ভাবিনি। সম্প্রতি নুরুর ইসলাম খান কতৃক বঙ্গবন্ধুর ছবি ও বাড়িতে বানানো শহিদ মিনার ভাংচুর ও অন্যান্য বিষয়ে অবতারনা করে মিথ্যা মামলা দায়ের করায় আমাদের পরিবারের সদস্য সহ স্থানীয় অনেকেই মর্মাহত ও হতবাক হয়েছে। আমি অতি দ্রুত এই ধরনের মিথ্যা ষড়যন্ত থেকে বাচাঁর জন্য প্রশাসন ও সাংবাদিক ভাইদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
Leave a Reply