বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০২:২১ পূর্বাহ্ন
উজিরপুর প্রতিনিধি:উজিরপুরে ইয়াবাসহ ছাত্রলীগের এক নেতা ও তার সহযোগি স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে গাঁজাসহ আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত ছাত্রলীগ নেতা হচ্ছেন আব্দুর রহমান মিঠু ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মিজানুর রহমান। তারা দুজনেই জল্লা ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ হালদার নান্টু’র ঘনিষ্ঠ সহচর।
মিঠু বর্তমানে জল্লা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদকের দ্বায়িত্বে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে রয়েছে মাদক ব্যবসার অভিযোগ। মাদকসহ আটকের ঘটনায় দুজনের বিরুদ্ধে ৩১ আগষ্ট শুক্রবার উজিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানাগেছে, ৩০ আগষ্ট বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১১ টার দিকে শোলক ইউনিয়নের ধামুড়া মাহামুদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সামনে মাদক বিক্রির চালান আসার সংবাদে ধামুড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ হুমায়ুন কবিরের নির্দেশে পুলিশ সদস্যরা অভিযান চালায়।
এসময় ছাত্রলীগ নেতা আব্দুর রহমান মিঠু ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মিজানুর রহমানকে আটক করে। মিঠু’র কাছ থেকে ইয়াবা ও মিজানুর রহমানের কাছ থেকে গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার পরপরই উজিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক শেখ ফরিদ ঘটনাস্থলে গিয়ে আটককৃত দুজনকে থানায় নিয়ে যান।
শুক্রবার সকালে এসআই ফরিদ শেখ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে।
এতে উল্লেখ করা হয় মিঠু’র নিকট ৩ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও মিজানুর রহমানের কাছে ৮ গ্রাম গাঁজা পাওয়া যায়। অভিযোগ উঠেছে, বৃহস্পতিবার রাতে মিঠু ও মিজানের কাছে বিপুল পরিমান ইয়াবা পাওয়া যায়। কিন্তু মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে মাত্র ৩ পিস ইয়াবা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, মিঠু একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী এবং জল্লা ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ হালদার নান্টু’র ঘনিষ্ঠ ক্যাডার।
রহস্যজনক কারনে মাদক সংখ্যা কম উল্লেখ করে মামলা দায়ের হয়েছে প্রভাবশালী মহলের ইশারায়।
ধামুড়া ক্যাম্প ইনচার্জ এস আই হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন, রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ৩ পিস ইয়াবা ও ৮ শত গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয় ওই দুই ব্যক্তির কাছ থেকে।
উজিরপুর থানার এসআই ফরিদ শেখ জানিয়েছেন, যতগুলো ইয়াবা পাওয়া গেছে সেইগুলো উল্লেখ করেই তিনি মামলা দায়ের করেছেন।
উজিরপুর থানার ওসি শিশির কুমার পাল জানিয়েছেন, ৩ পিস ইয়াবা সহ আব্দুর রহমান মিঠু ও ৮ গ্রাম গাঁজা সহ মিজানুর রহমানকে আটক করা হয়।
Leave a Reply