রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার॥ ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও পূর্ব ইলিশা যুব ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেনকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করতে মিথ্যা নাটক সাজিয়েছে হাসপাতালে ভর্তি হওার অভিযোগ উঠেছে স্পিডবোট চালক হারুনের বিরুদ্ধে।
মিথ্যা নাটক সাজাতে নিজেকে গুরুতর আহত দাবি করে মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটার দিকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয় হারুন। রাত পেরোতেই বুধবার সকালে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে তাড়াহুড়ো করে বাড়িতে চলে যান নাটক তৈরির কারিগর হারুন মাঝি।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হারুন নিজেকে একজন আওয়ামী লীগের ত্যাগী কর্মী দাবি করে সাংবাদিকদের জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন বাবুলের উপস্থিতে যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন জংশন বাজারের লোকমানের ট্রান্সপোর্টের দোকানে নিয়ে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে তাকে মারধর করেন। পরে রাতেই স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এদিকে বুধবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে ভোলা সদর হাসপাতালে গিয়ে তাঁর চিকিৎসাধীন বেডে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। হাসপাতালের দায়িত্বরত কর্মকর্তা জানান, রাতে ভর্তি হয়ে সকালেই তিনি স্বেচ্ছায় ছাড়পত্র নিয়ে চলে যান।
এ বিষয়ে মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, হারুনকে লোকমানের ট্রান্সপোর্টের দোকানে দেখতে পেয়ে তিনি জানতে চেয়েছিলেন তাঁর ঘাটে হারুন স্পিডবোট ঘাট দিবে কিনা। এসময় হঠাৎ করেই কাউকে সম্বোধন না করেই হারুন অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করতে থাকেন। একপর্যায়ে উপস্থিত কয়েকজন হারুনকে ওই দোকান থেকে বের করে দেন। এরপরই হারুন ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে তাকে আনোয়ার মারধর করেছে বলে দাবি করেন। কিন্তু হারুনকে মারধরের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। হারুন মাদক ব্যবসায়ীদের ইন্দনে আনোয়ার হোসেনকে হয়রানী করার জন্য এই মিথ্যা নাটক সাজিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন বাবুল জানান, হারুনকে মারধরের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। হারুন আনোয়ারকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করতে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বুধবার সকালে হারুনকে হাসপাতালে না পেয়ে মুঠোফোনে তাঁর চলে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি উক্ত প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। উল্টো নিজেকেই বাঁচাতে মিথ্যা নাটক থেকে বাঁচতে মুঠোফোনের লাইন কেটে দেন।
Leave a Reply