রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০৯ অপরাহ্ন
ভোলা প্রতিনিধি: ভোলা সদর উপজেলায় প্রেম করে বিয়ে করায় শুভঙ্কর চন্দ্র দাস নামের এক যুবককে থানা হেফাজতে পুলিশ দিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে প্রেমিকার বাবার বিরুদ্ধে।মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে শুভঙ্করের বড় ভাই তরুণ চন্দ্র দাস প্রেমিকার বাবা কৃষ্ণ পদ দে এর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন।
অভিযোগে তরুণ চন্দ্র জানায়, গত সাত বছর ধরে ভোলা শহরের বিএভিএস রোডের বাসিন্দা কৃষ্ণ পদ দে এর মেয়ে অনন্যা রাণী দে’র সাথে তার ছোট ভাই শুভঙ্করের প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। সে সূত্র ধরেই এরা দু’জন পরিবারের অমতে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে চলতি মাসের ৭ তারিখে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের পর থেকেই এরা দু’জন বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। গত কয়েক দিন আগেও এরা দু’জন পালিয়ে গেলে আমি তাদেরকে খুজে এনে মেয়েকে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেই। কিন্তু এতেও এরা দু’জন ক্ষান্ত হয়নি।
এদিকে অনন্যার বাবা কৃষ্ণ পদ তার মেয়েকে বাড়িতে আটকে রাখে। কিন্তু অনন্যা শুভঙ্করের সাথে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে থাকে। সর্বশেষ গত সোমবার বেলা ১১টার দিকে অনন্যা রাণী দে বাসা থেকে বের হয়ে শুভঙ্করের সাথে পালিয়ে যাওয়ার সময় শহরের বাংলাস্কুল মোড়ে তাদেরকে আটক করে অনন্যার বাবা কৃষ্ণ পদ দে। তখন অনন্যা জনসম্মুখে তার বাবার বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করে এবং শুভঙ্করকে স্বামী হিসেবে দাবি করে। পরে লোকজন জড়ো হলে পুলিশ এসে তাদের দু’জনকে সেখান থেকে থানায় নিয়ে যায়।
এর পর অনন্যার বাবা রাতে অনন্যাকে থানা থেকে বাসায় নিয়ে আসে। কিন্তু শুভঙ্কর পুলিশ হেফাজতেই থেকে যায়।তরুণ চন্দ্র আরও জানান, অনন্যার বাবা বিত্তশালী হওয়ায় শুভঙ্করকে থানায় রেখে পুলিশ দিয়ে নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। তাকে পুলিশ ছেড়েও দেয় না, আদালতেও সোপর্দ করে না। প্রেম করে যদি শুভঙ্কর অপরাধ করে থাকে তাহলে অনন্যাও সমান অপরাধী। অথচ অনন্যাকে পুলিশ ছেড়ে দিলো আর আমার ভাইকে আটকে রেখে নির্যাতন করছে। এটা কেমন বিষয়। অনন্যা থানায় গিয়েও তাদের বিবাহের কথা সকলের সামনে স্বীকার করেছে। তারা যে বিবাহ করেছে এটাও প্রমান আছে।
অনন্যারা বাবা কৃষ্ণ পদ দে বলেন, আমার মেয়ের কোনো বিবাহ হয়নি। তাকে শুভঙ্কর জোরপূর্বক উঠিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে।ভোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছগির মিঞা বলেন, শুভঙ্করকে থানায় কোনো নির্যাতন করা হয়নি। ছেলে ও তার লোকজন আমাদের কাছে প্রেমের কথা বলছে। কিন্তু তারা বিবাহের কথাও বলেনি এবং বিবাহের কোনো কাগজও দেখায়নি। শুভঙ্করের ব্যাপারে এখই আমরা সিদ্ধান্ত দিয়ে দিচ্ছি।
Leave a Reply