ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে দুইমাস মাছ ধরা নিষিদ্ধ Latest Update News of Bangladesh

বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৯:০৫ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে দুইমাস মাছ ধরা নিষিদ্ধ

ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে দুইমাস মাছ ধরা নিষিদ্ধ




ভোলা প্রতিনিধি:১ মার্চ শুক্রবার থেকে টানা দুইমাস (মার্চ-এপ্রিল) ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকায় সকল প্রকার মাছ ধরা, বিক্রয়, পরিবহণ ও মজুদ বন্ধ থাকবে। মৎস সংরক্ষণ আইনের ১৯৫০-এ সংযোজিত ১৩নং ধারার অনুবলে মৎস অধিদপ্তর ছোট মাছ সংরক্ষনের জন্য ২০০৫ সালে এ আইন জারি করে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সাধারণ জেলেদের পূনঃবাসনেরও ব্যবস্থা করবে সরকার।

 

মৎস অধিদপ্তরের প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, মৎস অভয়াশ্রম হিসেবে প্রতি বছরের ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ভোলা জেলার মদনপুর/চর ইলিশা হতে চর পিয়াল পর্যন্ত মেঘনা নদী ও শাহবাজপুর শাখা নদীর প্রায় ৯০ কিলোমিটার এলাকা এবং ভেদুরিয়া হতে পটুয়াখালীর চর রুস্তম পর্যন্ত তেঁতুলিয়া নদীর প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকায় সকল প্রকারের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও চাঁদপুর জেলার ষাটনল হতে লক্ষীপুর জেলার চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত মেঘনা নদীর নিন্ম অববাহিকার প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকায়ও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে।

 

এ সময়ে উপজেলা প্রশাসন, মৎস অধিদপ্তর, কোস্টগার্ড ও পুলিশ এসব মৎস অভয়াশ্রমসমূহে নিয়মিত যৌথ টহলের ব্যবস্থা করবেন। আইন লঙ্ঘন করে কেউ মাছ ধরলে মাছ, জাল ও নৌকাসহ সকল মাছ ধরার সরঞ্জামাদি বাজেয়াপ্ত করা হবে। এছাড়াও আইন অমান্যকারীর এক হতে দুই বছর জেল অথবা সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করার বিধান রয়েছে।

 

তজুমদ্দিন উপজেলার বিভিন্ন মাছঘাট সমূহে গত কয়েকদিন ধরেই এবিষয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন মৎস বিভাগের লোকজন। এসব এলাকার সকল বরফ মিল মালীকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বরফ তৈরি বন্ধ রাখতে। তজুমদ্দিন উপজেলা মৎস কর্মকর্তা জেলেদের নিয়ে সচেতনতামুলক সভার আয়োজন করেছেন। নিষিদ্ধ সময়ে জেলে পূনঃবাসন হিসেবে প্রতি জেলেকে মাসে ৪০ কেজি হারে ৪ মাস চাল প্রদান করবে সরকার।

 

তজুমদ্দিন উপজেলা মৎস কর্মকর্তা আমির হোসেন (অ.দা) জানান, ছোট মাছ সংরক্ষণ করা না হলে ভরা মৌসুমে মাছের সংকট দেখা দিতে পারে। সে জন্য মৎস অভয়াশ্রম সমূহে দুইমাস মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। আইন অমান্য করলে শাস্তির বিধান আছে। এজন্য সরকার চার মাস পর্যন্ত জেলেদের পূর্নঃবাসনের ব্যবস্থা করবে।

 

৭হাজার ১৯৬ জন জেলে পূর্নঃবাসনের বরাদ্ধের চাল ইতিমধ্যে বিতরণ শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য তজুমদ্দিন উপজেলায় মোট নিবন্ধীত জেলের সংখ্যা ১৮হাজার ৪শত ৮৫ জন।

 

 

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD