রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৭ পূর্বাহ্ন
চরফ্যাসন প্রতিনিধি॥ ভোলার চরফ্যাসনে প্রতিবন্ধী কার্ড পেলেও চার বছর ধরে ভাতার তালিকায় নাম ওঠেনি তানজু বেগম নামে এক কিশোরীর।
উপজেলার দুলাহাট থানার নুরাবাদ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মোঃ হারুনের প্রতিবন্ধী মেয়ে তানজুর পরিবারের অভিযোগ খরচের টাকা দিতে না পারায় ভাতা মিলছেনা। প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার আশায় স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বারের কাছে একাধিকবার গেলেও তারা কোন সহযোগিতা করেননি।
কিশোরীর মা সালমা বেগমের কাছ থেকে জানা যায়, প্রতিবন্ধী এক মেয়েসহ তিন সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে তাদের পরিবার। তানজুর বাবা মোঃ হারুন পেশায় একজন জেলে। জন্মের পর থেকেই তার কন্যার হাত পা একেবারেই অচল। অভাব অনটনের সংসারে প্রতিবন্ধী মেয়ের চিকিৎসার পেছনে অনেক টাকা ব্যয় করেও কোন লাভ হয়নি। চিকিৎসার খরচ জোগাতে ভিটে বাড়ি হারিয়ে তাদের পরিবার এখন নিঃস্ব। কিডনিতে সমস্যা থাকায় স্বামী হারুন মাঝি তেমন একটা কাজ করতে পারেন না। পেশায় জেলে হয়েও তার ভাগ্যে জোটেনি জেলে কার্ড। স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বারদের কাছে সহযোগিতা চেয়ে মেয়ের নামে একটি প্রতিবন্ধী কার্ড করিয়েছেন। কিন্তু গত চার বছরে ধরে মেলেনি প্রতিবন্ধী ভাতা।
সালমা বেগম বলেন, “আমার প্রতিবন্ধী মেয়ে এখন বড় হয়েছে। মেয়েকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিতে পারিনা। মেয়েটির জন্য যদি একটা হুইল চেয়ার পেতাম, তাহলে খুবই ভালো হতো।”
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ নাছির উদ্দিন বলেন, “আমার কাছে প্রতিবন্ধী মেয়েটির পরিবারের কেউ এখন পর্যন্ত আসেনি। আসলে ভাতার ব্যবস্থা করে দেয়া হবে।”
নুরাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, “মেয়েটি প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার উপযোগী। তার প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।”
ভোলা জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, “বরাদ্দের সীমাবন্ধতার কারণে অনেকেই ভাতা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। গত বছর থেকে নতুন করে বর্ধিত আকারে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তানজু বেগমসহ প্রকৃত প্রতিবন্ধীরা এবছর থেকে ভাতার আওতায় আসবেন। যারা ভাতা বঞ্চিত তারা পূর্বের কার্ড নিয়ে সমাজ সেবা কার্যালয়ে আসলে ভাতার ব্যবস্থা করে দেয়া হবে।”
Leave a Reply