রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৭ পূর্বাহ্ন
আমতলী প্রতিনিধি॥ বরগুনার আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মোঃ মতিয়ার রহমানের ভাগ্নে যুবলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদকে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদার দাবীতে কুপিয়ে দুই হাত ও দুই পায়ের রগ কেটে হত্যা চেষ্টা করার অভিযোগে এবং এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে বিচারের দাবীতে উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে আমতলী বাসীর ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেফতার করা না হলে আমতলীকে অচল করে দেওয়ার হুমকি। রবিবার বেলা ১১ টায় পৌরসভা চত্ত্বর থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলি প্রদক্ষিণ করে।
মিছিলে উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগসহ সকল অংঙ্গসহযোগী সংগঠনের প্রায় দুই তিন হাজার নেতা-কর্মীরা অংশ নেয়। পরে নতুন আমতলী বাজার চৌরাস্তা চত্ত্বরে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ নূরুল ইসলাম মৃধার সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মোঃ মতিয়ার রহমান, সহ-সভাপতি সাবেক মেয়র আলহাজ্ব মোঃ নাজমুল আহসান নান্নু, সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মোতাহার উদ্দিন মৃধা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শহিদুল ইসলাম মৃধা, পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মজিবুর রহমান, আওয়ামীলীগ নেতা ব্যবসায়ী হারুন অর রশিদ হাওলাদার, কামাল আকন, গাজী কামাল, শ্রকিমলীগ সভাপতি জহিরুল ইসলাম খোকন মৃধা, পৌর কাউন্সিলর জাহিদুল ইসলাম জুয়েল তালুকদার, রিয়াজ উদ্দিন মৃধা, হাবিবুর রহমান মীর, সামসুল হক চৌকিদার, যুবলীগ সহ-সভাপতি মোঃ মাহবুব মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সোবাহান লিটন, ছাত্রলীগ সভাপতি মাহবুবুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন সবুজ প্রমুখ।
বক্তারা আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে যুবলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার সাথে সরাসরি জড়িত দিনে দুপুরে কলেজ ছাত্র মনিরকে কুপিয়ে ৭ টুকরো করে হত্যার আসামী, চিহ্নিত খুনি, পৌর কাউন্সিল জিএম মুছাসহ সকল আসামীকে গ্রেফতার করা না হলে আমতলী উপজেলাকে অচল করে দেওয়ার হুশিয়ারী প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মোঃ মতিয়ার রহমানের ভাগ্নে যুবলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদের কাছে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদার দাবী করেন পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম মুছা। আজাদ এ টাকা দিতে অস্বীকার করলে এতে ক্ষিপ্ত হয় জিএম মুছা ও তার লোকজন।
গত ২১ মে রাতে কৌশলে আজাদকে ডেকে নিয়ে সদর ইউনিয়নের মাইঠা গ্রামের একটি সড়কে হত্যার উদ্দেশ্যে ধাড়ালো অস্ত্র দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে দুই হাত ও দুই পা কুচিকুচি করে হাত পায়ের রগ কেটে দেয়। সে সময় মৃত্যু ভেবে রাস্তায় ফেলে আজাদের সাথে থাকা দুই লক্ষ টাকা নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় শনিবার ভিকটিম আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে আমতলী পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর জিএম মুসা, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জিএম ওসমানী হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানজিল, সাংগঠনিক সম্পাদক মিরাজ হোসাইন, স্বেচ্ছাসেবক লীগে সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন খান, ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মতিন খানসহ ১৫ জন এজাহার নামিয় ও ১০/ ১২ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে আমতলী থানায় চাঁদার দাবীতে তাকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেন।
Leave a Reply