রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৬ অপরাহ্ন
ভোলা প্রতিনিধি : সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বিএনপি দলের প্রধান বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতি মামলায় কারাগারে। সেই দলের নেতাকর্মীরা না পারছে আন্দোলন করতে, না পারছে আইনি লড়াই করে কিছু করতে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অসুস্থ হয়ে সিঙ্গাপুরে যখন গেলেন, তার পরিবর্তে ভারপ্রাপ্ত হলেন মাহবুব-উল আলম হানিফ। আর খালেদা জিয়ার যখন সাজা হলো, তার ভারপ্রাপ্ত হলেন একজন খুনি। খুন মামলার আসামি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত।সাজাপ্রাপ্ত একজন আসামি বিদেশে থাকে,সে হলো দলের চেয়ারম্যান। সে আবার ভিডিও কনফারেন্সের মধ্য দিয়ে নমিনেশন দেয়। এই যদি একটা দলের অবস্থা হয়, সেই দল টিকবে না। তাই সারা বাংলাদেশে বিএনপির করুণ অবস্থা।
আজ বিকেলে ভোলা শহরের বাংলা স্কুল মাঠে পৌর আওয়ামী লীগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।তোফায়েল আহমেদ আরো বলেন, বিএনপি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে টাকার খেলা খেলেছে। এক একটি এলাকায় ৩ থেকে ৪ জনকে নমিনেশন দিয়েছে। খারাপ প্রার্থীকে তারা টাকার বিনিময়ে নমিনেশন দিয়েছে। আর যে লোকটা ভালো, টাকা না দেওয়ায় তাকে নমিনেশন দেয়নি। বিভিন্ন এলাকায় পরীক্ষিত লোকদের বাদ দিয়ে টাকার বিনিময়ে অচেনা লোককে নমিনেশন দিয়েছে। সারা বাংলাদেশে বিএনপি এভাবে মনোনয়ন বিক্রি করেছে। যারা নির্বাচনে টাকার খেলা খেলে, তারা বিজয়ী হতে পারে না।
ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিসহ একের পর এক ঘটনা উল্লেখ করে সামাজিক অবক্ষয় রোধে সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী সরকার ও আইনমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, এমন আইন করতে হবে যাতে দ্রুত বিচার হয়ে অপরাধীদের সাজা হয়। কারণ অপরাধী মনে করে আমি অপরাধ করে পার পেয়ে যাব। কিন্তু অপরাধী যেই হোক, তাকে আমরা বিচারের আওতায় এনে সর্ববোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড আমরা কার্যাকর করব। যেভাবে স্বাধীনতাবিরোধী, মানবতাবিরোধীদের বিচার হয়েছে। তাদের ফাঁসি হয়েছে। এদেরকেও ফাঁসি দেওয়ার জন্য আমাদের নতুন করে আইন করতে হবে। তা হলেই এ অন্যায় অপরাধ থেমে যাবে।
সারা বাংলাদেশের গ্রাম এখন শহর উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভোলা একটি সুন্দর জায়গা। এখানো প্রচুর পরিমাণে গ্যাস আছে। অনেক কলকারখানা ঘড়ে উঠবে এখানে। নদী ভাঙার হাত থেকে ভোলাকে ইতোমধ্যে রক্ষা করতে পরেছি। ভোলা হবে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ জেলা। আমি সিঙ্গাপুরের আদলে ভোলাকে গড়ে তুলতে চাই। এই লক্ষে ভোলা-চরফ্যাশন রাস্তার জন্য ৮০০ কোটি টাকা এবং ভোলা-লক্ষ্মীপুর ও ভোলা-বরিশাল মহাসড়কের জন্য ৩০৯ কোটি টাকা বরাদ্দের জন্য আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি। এ ছাড়া ভোলা-বরিশাল ব্রিজে খরচ হবে ১২ হাজার কোটি টাকা।
সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন—জেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মমিন টুলু, জেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকিব, জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব প্রমুখ।
Leave a Reply