বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:১১ অপরাহ্ন
বানারীপাড়া প্রতিনিধি॥ ২৮ বছর সংসার জীবনে ২টি ছেলে ও ১টি মেয়ে নিয়ে সুখেই ছিলেন বটবৃক্ষের ছাঁয়া বলা হয় যে ঘরকে সেই স্বামীর ঘরে তার ¯েœহ ভালোবাসার পরশে।
এত বছর স্বামীর ঘর-সংসার করার পরে আজ পথে পথে ঘুরছেন অসহায় হয়ে। কেন এমন পরিণতি হলো এই জননীর। কেন সে আজ স্বামীর সংসারে যেতে,তাকে ফিরে পেতে প্রশাসন ও মিডিয়া সহ বিভিন্ন সুধীজনদের কাছে ঘুরছেন।
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের উত্তরকুল গ্রামের আবুল হাসান ফরাজী (স্বামী) ও তার স্ত্রী সেলিনা আক্তারের কাছ থেকে সাংঘর্ষিক বক্তব্য পাওয়া যায়।
দু’জনেই দোষারোপ করেন দু’জনকে। সেলিনা আক্তার অভিযোগ করেন, ২০১৯ সালে ৩০ জুন তাকে স্বামী হাসান ফরাজী বিভিন্ন অজুহাতে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেন। ওইদিন সে স্থানীয় ফারুক মেম্বর নামের এক লোকের বাড়িতে যায়। সেখান থেকে রাতে সন্ধ্যা রানী নামের সংরক্ষিত এক ইউপি সদস্যের বাড়িতে রাত্রি যাপন করেন।
পরে ২০১৯ সালের ৫ জুলাই সেলিনা আক্তার স্বামী হাসান ফরাজীকে তালাক দেয় বলে এলাকায় গুঞ্জন ছড়িয়ে পরে। তবে ওই তালাক নামায় তার স্বাক্ষর চাপ প্রয়োগ করে নেয়া হয়েছে বলে সে অভিযোগ করেণ। সে আরও বলেন, জোর করে তালাক দেওয়ানোর পরেও স্বামী হাসান ফরাজী ও সে বহু স্থানে থেকেছে।
পরে একই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর তারা দুজনে মিলে বরিশাল নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে পুনরায় বিবাহের একটি হলফনামা তৈরি করেণ।
এরপরে সেলিনাকে ঢাকায় রেখে আসে তার স্বামী হাসান ফরাজী। রেখে আসার পরে ছেলে-মেয়েসহ তার খোঁজ-খবর রাখা বন্ধ করে দেয় বলেও জানান সেলিনা। সর্বপরি তাকে না জানিয়ে চলতি বছরের ৫ জুলাই নতুন করে বিয়ে করে ঘরে বউ তোলেন হাসান ফরাজী।
২৮ বছর ধরে তীল তীল করে গড়ে তোলা স্বামীর সংসারে উঠতে না পেরে বর্তমানে সেলিনা আক্তার প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা,জনপ্রতিনিধি এবং মিডিয়ার কাছে স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন।
আর প্রতিনিয়ত আহাজারী করছেন স্বামীর সংসারে স্ত্রীর দাবীতে ফিরে যেতে।
এ বিষয়ে স্বামী হাসান ফরাজীর কাছে জানতে চাইলে সে বলেন,তার সাবেক স্ত্রীর দেয়া সকল বক্তব্য সঠিক না। সে নিজ থেকেই তাকে তালাক দিয়েছে এবং পরবর্তীতে নোটারীর মাধ্যমে করা বিয়ের কাগজটিও ভিত্তিহীন।
Leave a Reply