রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৮ অপরাহ্ন
এইচ.এম হেলাল ॥ খাবার হোটেল, চাইনিজ রেস্তোরা, পার্লার, হারবাল সবকিছুরই আজ ঢাক-ঢোল পিটিয়ে উদ্বোধন করা রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। অর্থাৎ যত ঢাক ততো কাস্টমার। এ নীতিতেই বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনালে উদ্বোধন করা হয়েছিল “হোটেল বাঙালী”। নামেও বেশ চমক ছিল। তবে এ হোটেলটি চমক বেশি দেখিয়েছে পঁচা-বাসি খাবার আর খাবারের মধ্যে “বিছা” বিতরণে। জনৈক ইয়াসিন হোসেন মুন্না নামের এক ব্যক্তি হোটেল বাঙালী’র এহেন দশা তুলে তার ফেসবুক ওয়ালে খাবারের মধ্যে বিছা’র ছবিসহ কিছু কথা পোস্ট করেছেন। যেখানে তিনি নি¤œমানের খাবারের পাশাপাশি মূল্য বেশি রাখারও অভিযোগ তুলেছেন হোটেল বাঙালী’র বিরুদ্ধে।
সূত্রমতে, দক্ষিণাঞ্চলে পায়রা বন্দর ও কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের আগমন কেন্দ্র করে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল বিশ্রামের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এরই ধারাবাহিকতায় সেখানে একের পর এক বাহারী নামের হোটেল রেস্তোরা গড়ে উঠছে। যে হোটেলগুলোতে খাবারের মান যতোই খারাপ হোক না কেন কাস্টমারদের পকেট কাটছে দেদাড়ছে।
হোটেল ডে-নাইট, কস্তুরী, বাঙালী, রুপসী বাংলাসহ আরও কয়েকটি উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে। এ হোটেলগুলোতে ডে-নাইটের মতোই আধাঁর আলোর ঝলকানি চলে। দূর দূরান্ত থেকে থেকে আসা পর্যটকরা ক্ষুদা নিবারণের জন্য ভাল মানের হোটেলে যায়। আর যেহেতু চকচকে আর আলোর ঝলকানিতে হোটেলের বড় বড় সাইনবোর্ড সাটানো থাকে স্বভাবতই ক্রেতারা সেই হোটেলগুলোতে প্রবেশ করে। কিন্তু চক চক করলেই যে সোনা হয়না তা টেয় পায় তারা খাওয়ার পর কিংবা খাবার শুরুতেই। ফলে এবার হয়তো ইয়াসিন হোসেন মুন্না নামের ওই ভদ্রলোক হোটেল বাঙালীর খাবারের মান নিয়ে ফেসবুক ওয়ালে পোষ্ট করেছেন। ফের হয়তো অন্যান্য হোটেলগুলোর ব্যাপারেও এ ধরণের প্রতিবাদী পোষ্ট পাওয়া অমূলক নয়।
ভোক্তা অধিকার আইনে এসব হোটেলগুলোর জরিমানা হওয়া উচিত বলেই মন্তব্য করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কলেজ শিক্ষক। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারীর অভাবেই খাবারের হোটেলগুলোর এ অবস্থা।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রভাবশালী কিছু মহল ওই হোটেলগুলোর মালিকানায় রয়েছে। আর তাদের সাথে পরিবেশ অধিদপ্তর ও ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষের দহরম-মহরম সম্পর্ক রয়েছে। যদিও তা অস্বীকার করেন সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তারা। তারা বলেন, শীঘ্রই এ হোটেলগুলোতে অভিযান চালানো হবে।
Leave a Reply