শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৬ পূর্বাহ্ন
আমজাদ হোসেন, বাউফল প্রতিনিধি॥ পটুয়াখালীর বাউফলে পাওনা টাকা পরিশোধ না করায় এক কিশোরকে আটকে রেখে রাতভর নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ধানদী বাজার এলাকায়।
কিশোরের নাম সবুজ সে কেশবপুর ইউপির ভরিপাশা গ্রামের আজগর মোল্লার ছেলে। এদিকে এক চৌকিদার ও কয়েক যুবক মিলে রাতভর নির্যাতন করার পাশাপাশি ওই কিশোরের মাথা ন্যাড়া করায় এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করেছে বলে জানা গেছে।
সোমবার ( ১ জুন) গোয়ালঘর থেকে নানীর গরু নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে এক চৌকিদার ও কয়েক যুবক মিলে নির্যাতনের পর আজ সোমবার সকালে তাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সবুজের কাছ থেকে ২ হাজার টাকা ধার নিয়ে দেই-দিচ্ছি করলেও পরিশোধ করছিলেন না তার নানী মনোয়ারা বেগম। রোববার (৩১ মে) রাতে নাজিরপুর ইউনিয়নের নিমদী গ্রামে নানা ফজলু রাঢ়ীর বাড়িতে এসে খাওয়া দাওয়ার পরে পাওনা টাকা পরিশোধ নিয়ে নানীর ওপর রাগ করে রাত ১২টার দিকে তাদের গোয়ালঘর থেকে একটি গরু নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ধানদী বাজার এলাকায় কয়েক যুবক তার গতি রোধ করে আটক করে।
এরপর স্থানীয় লালু শাহের ছেলে গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) মহিবুলাহ, রাসেল মৃধা, ফিরোজ মাতবর, ফিরোজ বিশ্বাস, সানু ফরাজিসহ কয়েকজন মিলে রাতভর আটকে রেখে তাকে শারীরিক নির্যাতন করে।
একপর্যায়ে মাথার বিভিন্ন অংশের চুল কেটে ভিন্ন স্টাইলে ন্যাড়া করে দেয়া হয় তাকে। এরপর আজ সোমবার সকালে তাকে স্থানীয় ইউপির চেয়ারম্যান মো. ইব্রাহিম ফারুকের পৌর সদরের বাংলাবাজার এলাকার বাসায় নিয়ে গিয়ে সেখান থেকে তাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।
খবর পেয়ে বিকালের দিকে তাকে ছাড়িয়ে নিতে থানায় আসেন তার নানা-নানী। কিশোর সবুজ জানান, নির্যাতনের কারণে তার শরীরে ব্যাথা করলেও এখন পর্যন্ত কোন ধরণের চিকিৎসা সুবিধা দেয়া হয়নি তাকে।
বিস্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, বিকাল ৩টার দিকে পুলিশ থানার কাছের একটি সেলুন থেকে নাপিত ডেকে কিশোর সবুজকে পুরো ন্যাড়া করে দিয়েছেন।
মাথার বিভিন্ন অংশের চুল কেটে ভিন্ন স্টাইলে ন্যাড়া করে দেয়ায় চেহারা বিদঘুটে দেখানোর কারণেই ওসির নির্দেশে নাপিত ডেকে মাথার বাকি অংশের চুলগুলো কেটে দেওয়া হয়।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বাউফল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান ওই কিশোরকে নির্যাতনের জন্য চৌকিদার মহিবুল্লাহকে ধমকিয়েছেন বলেই জানান স্থানীয় এক সাংবাদিক।
Leave a Reply