রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৭ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: কোন প্রকার টেন্ডার বা অনুমতি ছাড়াই কাটা হচ্ছে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের গড়িয়ারপাড় এলাকায় সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের শতবর্তী রেইন্ট্রি গাছ।গত দু’দিন ধরে ক্ষমতাসিন দলের নাম ভাঙিয়ে চলা ডোস্ট ও কামিনি পেট্রোল পাম্পের মালিক মোহাম্মদ খান শাওনকে গাছ কাটাতে দেখাগেছে। এরই মধ্যে চার লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ওই গাছটির বড় আকারের ডালপালা কেটে সাবার করা হয়েছে।এর পেছনে সড়ক ও জনপদ বিভাগের কতিপয় কর্মচারীর যোগসাজস রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
যার ফলে গত দু’দিন ধরে প্রকাশ্যে গাছ কাটার কাজ চললেও এ ব্যাপারে আইনগত কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি সড়ক ও জনপদ বিভাগ। যদিও অবৈধভাবে গাছ কাটার কার্যক্রম এইর মধ্যে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে দাবী করেছেন সজও এর নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, ‘নগরীর নব্য শিল্পপতি খ্যাত ডোস্ট ফিলিং স্টেশনের মালিক মোহাম্মদ খান শাওন ওরফে ডোস্ট শাওন গড়িয়ারপাড় এলাকায় রাব্বি ফিলিং স্টেশন নামে আরো একটি নতুন ফিলিং স্টেশন নির্মান করছে। তার ব্যবসার সুবিধার্থে ফিলিং স্টেশনের সামনে ও মহাসড়কের পাশে থাকা সওজ এর মালিকানাধীন শতবর্ষী রেইন্ট্রি গাছ কেটে ফেলছেন।
সরেজমিনে দেখাগেছে, ‘বুধবার সকাল থেকে শাওনের ছোট ভাই সুমন খান দাড়িয়ে থেকে গাছের উপরীভাগে থাকা বড় আকারের শাখা-প্রশাখা এবং ডালপালা কেটে ফেলেছে শ্রমিকরা। শুধু তাই নয়, ডালপালা কেটে শাওন নির্দিষ্ট স্থানে সরিয়ে নিয়ে গেছে। কিন্তু শতবর্ষী ওই গাছ কাটার ব্যাপারে তিনি সড়ক বিভাগ থেকে কোন অনুমতি গ্রহন করেননি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সূত্রগুলো।
গাছ কাটার ব্যপারে জানতে চাওয়া হলে শাওনের ভাই সুমন খান বলেন, ‘গাছ কাটার বৈধতার বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। এ বিষয়ে জানতে সড়ক ও জনপদ বিভাগের কার্য সহকারী মিজানুর রহমান ও পাম্পের মালিক মোহাম্মদ খান শাওন এর সাথে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।
সওজ এর গোপন সূত্র জানিয়েছে, ‘সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কার্য সহকারী মিজানুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলীর গাড়ি চালক আব্দুল মালেক গাছটি কাটার বিষয়ে মোহাম্মদ খান শাওন এর সাথে লাখ টাকার রাফাদফা করেছেন। তারা নির্বাহী প্রকৌশলীকে ম্যানেজ করার শর্তে ওই টাকা গ্রহন করে শতবর্ষী ওই গাছটি কাটার বিষয়ে সহযোগিতা করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কার্য সহকারী মিজানুর রহমান সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদককে বলেন, ‘কিভাবে গাছ কাটা হচ্ছে তা শওন ভাই ভালো বলতে পারবে। আপনি তার সাথে যোগাযোগ করেন। তাছাড়া সওজ এর নির্বাহী প্রকৌশলীর গাড়ি চালক আব্দুল মালেক তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং এ বিষয়ে কার্যসহকারী মিজানুর রহমান বলতে পারবে বলে দাবী করেন।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে বরিশাল সিটি মেয়র’র নাম ভাঙিয়ে চলা অদৃশ্য ক্ষমতাধর তৈল ব্যবসায়ী মোহাম্মদ খান শাওন এর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এমনকি তার ব্যবহৃত মুঠোফোনের নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
এ প্রসঙ্গে বরিশাল সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘গড়িয়ার পাড়ের শতবর্ষী ওই গাছ কাটার জন্য কাউকে অনুমতি দেয়া হয়নি। কারা কিভাবে গাছ কেটেছে তাও আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি জানতে পেরে আমি নিজে গাছ কাটার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। এ বিষয়ে আমরা মামলা করার প্রস্তুতি নিয়েছে। যারা অবৈধভাবে গাছ কেটেছেন পুলিশ তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
Leave a Reply