শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৩ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশালে আওয়ামীলীগের শান্তি সমাবেশে নির্বাচন ও ভোট ব্যবস্থা নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ায় বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাড. একেএম জাহাঙ্গীরকে সকল পদ থেকে অপসারণসহ মহানগর কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে আওয়ামীলীগের একাংশ। মহানগর আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে আজ শনিবার বেলা ১১টায় নগরীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
গত ২৮ নভেম্বর বরিশাল নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে মহানগর আওয়ামী লীগের আয়োজনে বিএনপি জামায়াতের অবরোধ, হরতাল, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে শান্তি সমাবেশ করা হয়। ওই সমাবেশে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাড. একেএম জাহাঙ্গীরের বক্তব্যে নিয়ে বরিশালে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। এরই প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ-সমাবেশ করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এ্যাড. আফজালুল করিম।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক এ্যাড. লস্কর নুরুল হক, বরিশাল মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক নিজামুল ইসলাম নিজাম, যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হক খান মামুন, বরিশাল জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি শাহজাহান হাওলাদার, কাউন্সিলর সাহিন সিকদার, জিয়াউর রহমান বিপ্লব, এনামুল হক বাহার, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জসীমউদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক অসীম দেওয়ান প্রমুখ।
বক্তারা এ্যাড. জাহাঙ্গীরের বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে তার অপসারনসহ মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি ভেঙে দেওয়ার দাবি জানান। এছাড়াও সিটি মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহকে সভাপতি করে মহানগর আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি ঘোষণার দাবি জানানো হয়। বক্তারা আগামী সংসদ নির্বাচনের পূর্বে এ কমিটি ভেঙে দেওয়া না হলে বরিশাল সদর আসনে নৌকার প্রার্থীর নির্বাচনে এর প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করেন।
সমাবেশ শেষে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. একেএম জাহাঙ্গীরের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এসে মিছিলটি শেষ হয়।
মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাড. লস্কর নুরুল হক বলেন, তিনি (একেএম জাহাঙ্গীর) আওয়ামী লীগের একটি দায়িত্বশীল পদে রয়েছেন। এছাড়াও তিনি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। তার মতো একজন দায়িত্বশীল ব্যাক্তির এ ধরনের বক্তব্যে দেওয়া ঠিক হয়নি। দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে এ ধরনের বক্তব্য দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের শামিল। আমরা কেন্দ্রের দিকে তাকিয়ে আছি, তারা কী ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
Leave a Reply