বরিশালে ব্র্যাক কার্যালয়ে ভাংচুর ,অতপর... Latest Update News of Bangladesh

সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০৫ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:




বরিশালে ব্র্যাক কার্যালয়ে ভাংচুর ,অতপর…

বরিশালে ব্র্যাক কার্যালয়ে ভাংচুর ,অতপর…




ভয়েস অব বরিশাল ॥ নগরীর কাশিপুরে ব্র্যাক সালিশ কেন্দ্রে তালাকের টাকা নিয়ে বর ও কণে পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এর জের ধরে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতার নেতৃত্বে ব্র্যাক কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুর করা হয়। এসময় ঘটনাস্থল হতে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সহ দু’জনকে আটক করে পুলিশ। আজ রোববার বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের কাশিপুর ব্র্যাক কার্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।

জনাগেছে, গত তিন বছর পূর্বে গৌরনদীর বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম এর সাথে বরিশাল সদর উপজেলার রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়নের পপুলার স্কুল সংলগ্নের বাসিন্দা মানিক হাওলাদারের মেয়ের বিয়ে হয়। পরবর্তীতে পারিবাকির কারনে তাদের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এই ঘটনায় মেয়ে পক্ষ ব্র্যাক এর আইন ও সালিশ কেন্দ্রে অভিযোগ দেয়। এ নিয়ে ইতিপূর্বে দু’দফা সালিশও হয়েছে।

সর্বশেষ আজ রোববার পুনরায় কাশিপুর ব্র্যাক কার্যালয়ে সালিশ-মিমাংশায় বসে বর ও কনের পরিবার। এর মধ্যে ২৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন ওরফে জসিম মাষ্টার ছেলের পক্ষে সালিশে যায়। সেখানে ছেলেকে তালাক দেয়ার বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায় মেয়ে। সেই সাথে কাবিনের ২ লাখ টাকার সাথে বার্তি আরো ১৫ হাজার টাকা দাবী করে। এ নিয়ে ছেলে ও মেয়ের পরিবারের মধ্যে উত্তেজনা এবং এক পর্যায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সাথে হাতাহাতি হয়।

এর জের ধরে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন তার লোকজন নিয়ে মেয়র পরিবারের উপর পাল্টা হামলা এবং ব্যাক কার্যালয়ের ভেতরে এবং বাইরে জানালার গ্লাস ভাংচুর করে। খবর পেয়ে এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রহমান মুকুল এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সেই সাথে পুলিশের সাথে খারাপ ব্যবহার এবং ভাংচুরের অভিযোগে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা জসিম মাস্টার সহ দু’জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। তবে পরবর্তীতে তাদের আবার ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইন-চার্জ আব্দুর রহমান মুকুল বলেন, সালিশ মিমাংশায় ছেলে ও মেয়ে পরিবারের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এজন্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে আওয়ামী লীগের নেতা সহ দু’জনকে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে ২৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ফরিদ আহমেদ আগামী বুধবার বিষয়টি সমাধানের দায়িত্ব নিয়েছেন। তাছাড়া হামলা এবং ভাংচুরের ঘটনায় কোন পক্ষই থানায় অভিযোগ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। যে কারনে আওয়ামী লীগ নেতা সহ আটককৃতদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD