শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১২ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার ঃ নগরীতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কুয়েত প্রবাসীর স্ত্রী ও সন্তানদের উপর পরিকল্পিত হামলার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের এ এস আই মিজানুর রহমান ফারুক ও তার ভাই বাশার খানের বিরুদ্ধে । গতকাল রবিবার সকাল ৯টায় বরিশাল নগরীর ২৮ নং ওয়ার্ডের নবগ্রাম রোড এ আর খান সড়ক এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে কুয়েত প্রবাসী আঃ রহমান খান রিপনের স্ত্রী তাছলিমা আক্তার কোতয়ালী মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। থানার এজাহার সুত্রে জানাযায়, নগরীর এ আর খান পুরি সড়কের আঃ রশিদ খানের ছেলে মিজানুর রহমান ফারুক, বাশার খান প্রায় সময়ই তার প্রবাসী ছেলে আঃ রহমান খান রিপনের স্ত্রী ও সন্তানদের সাথে বিভিন্ন প্রকার বিরোধ চলে আসছিল।
এরই জের ধরে গতকাল রবিবার সকালে প্রবাসীর বসত ঘরে প্রবেশ করে তার মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া ছাত্রী রশ্নী আক্তার (১৯) ও বরিশাল হালিমা খাতুন বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর পড়–য়া ছাত্রী জান্নাতুল মাওয়া সাদিয়া (১৪) কে এলোপাতারি কিল,ঘুষি ও লাঠি ছোটা দিয়ে পিটায় এমনকি তাদের পড়নের জামা কাপড় ছিরে শীলতাহানি ঘটায়। এসময় প্রবাসীর স্ত্রী তাছলিমা আক্তার (৩০) কে বাশার চুলের মুটি ধরে শোয়াইয়া ফালায় , তখন ফারুক লাঠি দিয়া পিটায় ।
এ সময় নগদ টাকা নিয়ে যায় এবং ঘর ভাংচুর করে। আহতরা ডাক চিৎসার শুরু করলে হামলাকারীরা প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে ঘটনা স্থল ত্যাগ করে। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
পরবর্তীতে তাছলিমা আক্তার খবর পায় তার ছেলে আহম্মদ সালমান খান (৮) কে হামলাকারীরা ঘরে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। তাদের উদ্ধার করতে রশ্নী আক্তারের স্বামী সাবিক দেওয়ান স্থানীয় বাসিন্দা কালাম (৩৫) ও আরিফ হোসেন (২৫) কে নিয়ে যায়। এ সময় ফারুক ও বাশার বাহিনী নিয়ে লাঠি ছোটা হটস্টিক ও হাতুরি দিয়ে হাত পা ভেঙ্গে দেয়। এ ঘটনাটি ঐ স্থানে লাগানো সিসি ক্যামেরায় ভিডিও ফুটেজ আছে বলে জানা গেছে। বর্তমানে আহতরা হাসপাতালের বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদের ভিতর কালামের ডান পা গুরুতর জখম হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করা হয়েছে। অপর দিকে আহতদের পরিবার অভিযোগ করে আরো বলেন, ফারুক ও বাশার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে হাসপাতালে এসে আহতদের নাম কেটে দেওয়ার পায়তারা চালায় ।
এমনকি প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন। এদিকে নাটকীয় ভাবে মিথ্যা মামলায় আহতদের ফাসানোর জন্য হামলাকারীরা ভর্তি হয়েছেন। এ বিষয়ে বিরোধকৃতদের বাবা আঃ রশিদ খান ঘটনা সততা স্বীকার করে বলেন ফারুক ও বাশার বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা কাউকে তোয়াক্কা করে না,এমনকি আমাকেও অনেক বার মেরেছে । এ বিষয়ে মিজানুর রহমান ফারুক বলেন আমি একজন জন পুলিশের এ এস আই, আমার বিরুদ্ধে সবাই ষড়যন্ত্র করতেছে এবং ঘটনাটি সম্পূর্ন মিথ্যা।
এ বিষয়ে কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানায় যে আমারা গতকাল একটি অভিযোগ পেয়েছি। তবে আমরা শুনেছি পুনরায় আবার তাদের উপরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। আমরা এ বিষয় অব্যশই মামলা নিব এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নিব।
Leave a Reply