সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১০ অপরাহ্ন
রিপন হাওলাদার ॥ মোঃ আনিচ ,পেশায় একজন মুদি ব্যাবসায়ী দোকান করে ভালই চলছে তার জীবন সংসার। অনেক গনমাধ্যম কর্মী তার পরিচিতজন পাশাপাশি রেন্ট-এ কারের ব্যবসাও রয়েছে তার। রেন্ট-এ কার আনিচ নামে আনিচের ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে বরিশাল নগরীতে।
নগরীর ব্রাউন কম্পাউন্ড এলাকার মুদি দোকান ও রেন্ট এ কার ব্যবসায়ী একজন সরকারী চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী। তাকে নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ চলে অনুসন্ধান। বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর এলাকায় অবস্থিত কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার সেন্টার এর ড্রাইভার মোঃ আনিচ ।
পেশায় তিনি সরকারী কর্মচারী হলেও মুদি দোকান ও রেন্ট এ কারের ব্যবসা মূল পেশা হিসেবে বেচে নিয়েছেন। তিনি অফিসে না গেলেও অদৃশ্য ক্ষমতার ইশারায় চলে আসে বেতন ভাতা। অফিসে না গিয়েও বেতন ভাতা পাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই অফিসের অনেকেই। নতুন কেউ ওই অফিসে যোগদান করলে ২/১ বছর লেগে যায় ড্রাইভার আনিচকে চিনতে। সরকারকে ফাকি দিয়ে নিজের ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে ব্যস্ত সময় পার করেন এই সরকারী করমচারী।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হরটিকালচার সেন্টারে সরকারী ভাবে দুটি গাড়ি এবং দুজন ড্রাইভার নিয়োগ রয়েছে । একটি গাড়ি চলছে বাকি অন্য গাড়িটি অকেজো হয়ে পরে থাকতে দেখা গেছে। সরকারী গাড়িটি না চলার কারনে প্রায় অকেজোর পথে বলে জানিয়েছেন নির্ভরযোগ্য সূত্র ।
সূত্রটি আরো বলেন, প্রায় অকেজো হওয়া গাড়িটির নামে ইস্যু হচ্ছে সরকারী তেল । সেই তেল ব্লাকে বিক্রি হচ্ছে বলেও জানা গেছে। এই ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। সূত্রটি জানিয়েছেন আনিচের বেতন এবং গাড়িটির নামে ইস্যু হওয়া তেলের ভাগ পাচ্ছেন ওই দপ্তরের উপ-সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান।
অপর একটি সূত্র জানিয়েছেন, আনিচ গত দুই থেকে আড়াই বছর পূর্বে নিজের ব্যবসার কাজে বরিশাল নগরীর কাটপট্টি রোডে যাওয়ার পথে সন্ধ্যার দিকে সদর রোডস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মটর সাইকেল ও আলফার সংঘর্ষে পা ভেঙ্গে যায় হর্টিকালচার সেন্টারের ড্রাইভার আনিচের।
সু-চতুর আনিচ এই ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে হাতিয়ে নিয়েছে সরকারের প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকা। সুত্রটি জানিয়েছে নিজের ব্যবসা করতে গিয়ে সরকারী কর্মচারী আহত হয়েছে এমন আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকারের কাছ থেকে এই টাকা লুটে নেয় যাহার ভাগ পেয়েছিলেন হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-সহকারি পরিচালক মেহেদী হাসান ।
তথ্য অনুসন্ধান করতে গেলে হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান ড্রাইভার আনিচের পক্ষে কঠোর অবস্থান নেন। তিনি সাংবাদিকদের নানাবিধ কথা বলে বিষয়টি ভিন্নখাতে নেয়ার চেস্টা করেও ব্যর্থ হন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয়, বরিশাল দুর্নীতি দমন কমিশনের এক কর্মকর্তার সাথে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি প্রমান পেলেই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
তবে দুর্নীতিবাজ আনিচের পক্ষে সাফাই গাইলেন হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক স্বপন কুমার হালদার । এরপরেও সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেন।
Leave a Reply