মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৭ অপরাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি।। বরগুনা পৌর শহরের আমতলারপার এলাকার একটি ভাড়া বাসায় শুক্রবার দুপুরে নার্গিস সুলতানা অশ্রু (৪৫) নামে এক পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে বরগুনা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ মামলার একমাত্র আসামি নিহত নার্গিস সুলতানা অশ্রুর স্বামী তালতলীর ছোট বগী পিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রেজবুল হায়দার হিরুকে গ্রেপ্তার করেছে।
নার্গিস সুলতানা অশ্রু বরগুনা মা ও মিশু কল্যাণ কেন্দ্রে কর্মরত ছিলেন। তাঁর দুই মেয়ের একজন উচ্চ মাধ্যমিকে, আরেকজন পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় প্রতিদিনই এই বাসার স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো। পুলিশ ও স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, বরগুনা পৌর শহরের আমতলারপার এলাকায় স্ত্রী নার্গিস সুলতানা অশ্রু ও সন্তানদের নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন তালতলী উপজেলার ছোট বগী পিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রেজবুল হায়দার হিরু। দীর্ঘদিন ধরে তাদের পারিবারিক অশান্তি ছিল। প্রায় সময় মারধর করা হতো। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেন। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই গোলাম সরোয়ার মিরন বাদী হয়ে তার স্বামী স্কুলশিক্ষক রেজবুল হায়দার হিরুকে আসামি করে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করেছেন। পুলিশ ঘটনার দিন রেজবুল হায়দার হিরুকে আটক করেছে। পরে তাকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নিহত অশ্রুর বড় ভাই গোলাম সরোয়ার মিরন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমার বোনের স্বামী তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল। এসব নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আমার বোন আত্মহত্যা করে।
বরগুনা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম খান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক অশান্তি ছিল। এর জেরে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন বলে মনে হয়। তবে লাশের ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা। ইতিমধ্যে তদন্তের কাজ শুরু হয়ে গেছে।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্তকর্মা কে এম তরিকুল ইসলাম বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে মূল ঘটনা উদ্ঘটন হবে। তবে সুরতহালে লাশের গলায় একটি আঘাতের দাগ ছাড়া আর কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply