শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৭ পূর্বাহ্ন
আমতলী প্রতিনিধি॥ বরগুনার আমতলী ও তালতলীতে লোডশেডিং ও তীব্র তাপদাহের কারণে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে দুই উপজেলার শহর এলাকায় কিছুটা বিদ্যুৎ পেলেও প্রত্যন্ত এলাকায় দিনের অধিকাংশ সময় ও রাতে বিদ্যুৎ থাকে না। ফলে একটু প্রশান্তির জন্য ব্যাটারিচালিত সোলার ও চার্জার ফ্যান কেনার জন্য ইলেক্ট্রনিকস দোকানগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন ক্রেতারা।
পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন আমতলী জোনাল অফিস সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে আমতলী উপজেলার ৬২ হাজার জন গ্রাহক সংখ্যার বিপরীতে বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ১২ মেগাওয়াট।
কিন্তু সে তুলনায় তারা বরাদ্দ পাচ্ছে মাত্র ৬ থেকে ৭ মেগাওয়াট। একই সমিতির আওতায় তালতলী উপজেলায় ৩৩ হাজার জন গ্রাহক সংখ্যার বিপরীতে বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে সাড়ে ৫ মেগাওয়াট। কিন্তু সে তুলনায় তারা বরাদ্দ পায় মাত্র ২ মেগাওয়াট।
সরেজমিন দেখা যায়, দুই উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুতের অব্যাহত লোডশেডিংয়ের কারণে স্থানীয় এজেন্ট ব্যাংক, এনজিও অফিস, ফটোকপি ও সাইবার ক্যাফেগুলোর কার্যক্রম প্রায়ই বন্ধ থাকছে। এতে করে শহর ও গ্রামীণ জনপদের লোকজন তাদের আর্থিক লেনদেনসহ অতি প্রয়োজনীয় কাজে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে।
এদিকে মঙ্গলবার আমতলী পৌর শহরের বিভিন্ন ইলেট্রনিক্স পণ্যের দোকান ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি দোকানে ব্যাটারিচালিত ও সোলার সিস্টেমের ফ্যান ক্রয়ে ক্রেতাদের প্রচুর ভিড়।
আমতলী পৌর শহরের ইলেকট্রিক পণ্য ব্যবসায়ী সাদিয়া ইলেট্রনিক্সের মালিক ইলিয়াস মিয়া বলেন, গরম ও তাপদাহে মানুষ টিকতে পারছে না। ফলে একটু প্রশান্তি পেতে বিদ্যুৎবিহীন ব্যাটারিচালিত চার্জার ফ্যান ও সোলার সিস্টেমের ফ্যান ক্রয় করছে মানুষ।
আমতলী পৌর শহরের একটি ইলেকট্রিক্সে পণ্যের দোকানে ব্যাটারিচালিত চার্জার ফ্যান কিনতে আসা গৃহবধূ শাহিনুর বেগম বলেন, গরমে টিকতে না পেরে ব্যাটারিচালিত একটি চার্জার ফ্যান ৪ হাজার ৪০০ টাকায় ক্রয় করেছেন।
পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন আমতলী জোনাল অফিসের সহকারী প্রকৌশলী জিয়া উদ্দিন তরফদার বলেন, চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের বরাদ্দ কম থাকায় সারাদেশের মতো আমতলীতেও ব্যাপক লোডশেডিং হচ্ছে।
Leave a Reply