রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৩ পূর্বাহ্ন
পাথরঘাটা প্রতিনিধি॥ বিয়ের আশ্বাসে প্রবাসী স্বামীকে তালাক দিয়ে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে শাহিন নামে এক শিক্ষকের বাড়িতে অবস্থান করছেন পপি আক্তার (২৩) নামে এক সন্তাননের জননী।
রোববার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের শিংড়াবুনিয়া গ্রামের সায়েদ মিয়ার ছেলে শাহিন মিয়ার বাড়িতে আসেন এবং স্ত্রীর স্বীকৃতি না দিলে বিষ খেয়ে অথবা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করার হুমকি দেন ওই নারী।
৮ বছরের শিশু সন্তানকে নিয়ে ওই শিক্ষকের বাড়িতে গিয়ে শিক্ষকের মা-বাবার কাছে বিষয়টি জানানোর সাথে সাথে পপি আক্তারকে গাছের সাথে বেঁধে মারধর করে পালিয়ে যায় বলেও অভিযোগ করেন ওই নারী।
পপি উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের কাকচিড়া গ্রামের মোশাররফ হোসেন জোমাদ্দারের মেয়ে।
পপি আক্তার জানান, মঠবাড়িয়া টিয়াখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো: শাহিন তার স্ত্রীকে নিয়ে কাকচিড়া বাজারে ভাড়া বাসায় থাকতেন। স্ত্রী অসুস্থ্য থাকায় প্রায়ই বাসা খালি থাকতো। এ সুযোগে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
জানা যায়, গত ছয় মাস তাদের পরকীয়া সম্পর্ক একপর্যায় শারীরিক সম্পর্ক পর্যন্ত গড়ায়। শাহিন তাকে বিয়ে করার কথা বলে স্ত্রীর মতো ব্যবহার করে। পরে স্ত্রীর স্বীকৃতি চাইলে তা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে রোববার সকালে একমাত্র ছেলে সন্তান নিয়ে শাহিনের বাড়িতে এসে বিয়ে করতে বলায় শাহিনের মা-বাবা ও পরিবারের লোকজন লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে বাড়ির সকলে পালিয়ে গেলে ঘরের তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করে পপি।
তিনি আরো বলেন, স্ত্রীর স্বীকৃতি না দিলে সন্তানসহ এই ঘরেই বিষ অথবা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করবো। এ বিষয় অভিযুক্ত শাহিন ও তার পরিবারের কাউকেই বাড়িতে না পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
কাকচিড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টু বলেন, খবরটি শুনেই ২ নম্বরওয়ার্ডের মেম্বর এবং চৌকিদারকে পাঠিয়েছি। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি। পাথরঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল বাশার বলেন, এমন অভিযোগের কথা আমি শুনেছি।
Leave a Reply