রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪২ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বিরশাল ডেস্ক॥ রবিবার রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে বলিউডের তারকা অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের। এদিন দুপুরে মুম্বাইয়ের নিজ বাসা থেকে এই অভিনেতার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
তার মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই ভারতের গণ্ডি ছাড়িয়ে শোক ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে। দিনব্যাপী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোক জানাচ্ছেন কোটি ভক্ত অনুরাগী। তাকে নিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং মোদি থেকে শুরু করে অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খানরা।
রবিবার দুপুরে এই অভিনেতার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের পর মুম্বাই পুলিশ গণমাধ্যমে ‘আত্মহত্যা’ বলেই মন্তব্য করেছেন। কিন্তু অন্য কথা বলছেন সুশান্তের মামা।
হিন্দুস্তান টাইমসকে দেয়া এক মন্তব্যে তার মামা আরপি সিং অভিযোগ করে স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, ‘এটি আত্মহত্যা নয়। এটা ঠাণ্ডা মাথায় করা খুন। আমি চাই গোটা বিষয়ের পূর্ণ তদন্ত হোক। সুশান্ত আত্মহত্যা করতে পারে না।’
এদিকে তার পরিবারও বলছে, কোনোভাবেই আত্মহত্যা করার মতো পরিস্থিতিতে ছিলেন না সুশান্ত। ১৮ বছর আগে মা মারা গেলেও তার বাবা এখনো জীবিত। রয়েছে চার বোন। বাবা কেকেসিং থাকতেন পাটনায়। প্রতিদিন ফোন করে খোঁজ নিতেন। বিশেষ করে করোনা পরিস্থিতিতে বাবার স্বাস্থ্য নিয়ে বেশ শঙ্কিত ছিলেন সুশান্ত। তাই গৃহ পরিচারিকাকে ফোন করে বাবার ঠিকঠাক যত্ন নেয়ারও তাগাদা দিতেন।
তিন দিন আগেও পাটনার বাড়িতে ফোন করে পরিচারিকা লক্ষ্মী দেবীকে সুশান্ত বলেছিলেন, ‘দয়া করে বাবার যত্ন নিন, ওনার খেয়াল রাখুন এই করোনা ভাইরাসের সময়টায়।’ সেদিন বাবার সাথেও শেষবারের মতো কথা হয় সুশান্তের। রবিবার একমাত্র ছেলের মৃত্যু সংবাদ শোনার পর বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন বাবা!
এদিকে তার বোনরাও বলছেন, সুশান্তের অবসাদগ্রস্ত হওয়ার কোনও লক্ষণ ফোনে কথা বলার সময় ধরা পড়েনি কখনো।
দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাটনার স্কুলেই পড়াশোনা করেছেন সুশান্ত। এরপর দিল্লিতে যান মেকানিক্যাল ইঞ্জিয়ারিং নিয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য। যদিও সুশান্তের ইচ্ছা ছিল অ্যাস্ট্রোনট হওয়ার। কিন্তু সবই অধরা থেকে গেল, ভাগ্যের খেলায় গ্ল্যামার দুনিয়ায় চলে এলেন। শুরু হল তার অভিনয় জীবন।
সিনেমার দুনিয়ায় এসে সফলতাও পেয়েছেন এই অভিনেতা। ছিলেন খ্যাতির চূড়ায়! ভারতীয় সফল ক্রিকেটার মাহেন্দ্র সিং ধোনির জীবনী নিয়ে নির্মিত ‘ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি’র কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করে মন জয় করে নেন সিনেমা ও ক্রিড়াপ্রেমী মানুষের।
Leave a Reply