শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৯ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল:
রোববার পটুয়াখালী সরকারী কলেজের ৩য় বর্ষের নির্বাচনী পরীক্ষা চলছিলো।ব্যবস্থাপনার ৩য় বর্ষের ছাত্র আফজালও সেই পরীক্ষা দিচ্ছিলো।হঠাৎ আফজালকে পরীক্ষার হলে ঢুকে এলোপাতারি কিল ঘুসি মারতে থাকে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন সন্ত্রাসী।
এমনটাই জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী আফজালের সহপাঠীরা।এ ঘটনায় হামলার শিকার হওয়া আফজালের সহপাঠীরা ক্লাশ পরীক্ষা বর্জন করেছে।তাদের দাবি এরকম ঘৃণ্য হামলার,৭১ এর পাকিস্তানিদের চেয়েও জঘন্য হামলার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা ক্লাশ পরীক্ষা বর্জন করলাম।তবে যদি আমরা সুষ্ঠু বিচার পাই তাহলে আবার ক্লাশ ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবো।সহপাঠী ও পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা শিক্ষকগণ এই প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছেন যে,পটুয়াখালী সরকারি কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের হিমেল ও ব্যবস্থাপনা প্রথম বর্ষের রিংকন এর নেতৃত্বে এই ৭১ কে হার মানানো বর্বর হামলার তান্ডব চালিয়েছে।
আফজাল এখন পটুয়াখালী সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।সন্ত্রাসী রিংকন ও হিমেল বাহিনীর নির্যাতন থেকে রেহাই মিলেনি পরিক্ষারত থাকা আশেপাশের শিক্ষার্থীসহ ৬ মাসের গর্ভবতী মা ও। ভুক্তভোগী শিপ্রা জানান,৪০ থেকে ৫০ জন সন্ত্রাসী দায়িত্বরত শিক্ষকদের অমান্য করে আমাদের পরিক্ষার হলে ঢুকে আফজাল কে বর্বর হিংস্র হায়েনার মতো মারতে থাকে।
তখন আমি ওর পাশে থাকায় আমিও গুরুতর আঘাতের শিকার হই।আমরা এই বর্বর হামলার দ্রুত বিচার চাই কর্তৃপক্ষের কাছে।এ ব্যাপারে হামলার শিকার আফজালের সাথে কথা বললে,আফজাল জানান, পরীক্ষা চলাকালীন সময় টয়লেটে হিমেল- রিংকনরা আড্ডায় মগ্ন ছিলেন।এমতাবস্থায় আমাদের ডিপার্টমেন্টের দুই ছাত্রী টয়লেটে যাওয়ার জন্য দীর্ঘক্ষন অপেক্ষা করছিলো।পরে আমি ওদের বলেছি,ভাইয়া আপনারা একটু তারাতারি বের হন,কয়েকজন মেয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে ওরা টয়লেটে যাবে।অমনি ওরা রেগেমেগে আমাকে খুব বাজে ভাষায় বকাঝকা করে এবং বলে আমরা হলে থাকি তোকে দেখে নিবো।
এরপর আমি পরীক্ষারত থাকা অবস্থায় ব্যবস্থাপনা প্রথম বর্ষের ছাত্র রিংকন ও প্রানীবিদ্যার হিমেলসহ ওদের সাঙ্গপাঙ্গরা আমাকে মারধর করে।মূলত ছাত্রী উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় ওরা আমাকে পরীক্ষার হলে ঢুকে নির্যাতন চালায়।পটুয়াখালী সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান মো.মোদাচ্ছের বিল্লাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,এই ঘটনা অমানবিক,প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা বহির্ভূত এরকম ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।এ ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে পটুয়াখালী সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর জয়দেব সজ্জন বলেন,এ বিষয়ে আজকে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হবে।তারপর আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এ ব্যাপারে পটুয়াখালী সদর থানায় যোগাযোগ করলে দায়িত্বরত ইন্সপেক্টর মামুন জানান,এরকম ঘটনা শুনেছি তবে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি।অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নিবো।
Leave a Reply