রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৩ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: নগরীতে তন্নীকে ধর্ষণ করে হত্যা মামলার স্বজন ও স্বাক্ষীদের উপর আসামীর সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলার ঘটনায় ৪ জন আহত হয়েছে। এ সময় সন্ত্রাসীদের অবরুদ্ধ করে এলাকাবাসী গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। গতকাল বিকেল সাড়ে ৩টায় নগরীর নবগ্রাম রোড জিয়া সড়কের মুখে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলোঃ হত্যা মামলার স্বাক্ষী শহিদ খান ও তন্নীর স্বজন মহিম। এছাড়া গণধোলাইয়ের শিকার সন্ত্রাসীরা হচ্ছে নগরীর রিফিউজি কলোনীর মোস্তফা হাওলাদারের ছেলে কশাই কালাম ও আলেকান্দা কাজী পাড়ার বারেক সিকদারের ছেলে আরিফ। আহতরা বর্তমানে শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর নগরীর নবগ্রাম রোড খান সড়কের টুনু পালোয়ানের মেয়ে মাদ্রাসা ছাত্রী তন্নীকে গণর্ধষণ করে হত্যা করা হয়।
এছাড়া হত্যা শেষে তন্নীর লাশ গুম করার চেস্টা চালানো হয়। এ ঘটনায় তন্নীর বাবা একই এলাকার আঃ মতিউর রহমান খানের ছেলে সাকিল খানসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ মামলার প্রধান আসামী সাকিলকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
বর্তমানে সাকিল জেল হাজতে রয়েছে। মামলা দায়ের করার করার পর থেকে সাকিলের স্বজন ও সহযোগী সন্ত্রাসীরা তন্নীর পরিবারের উপর হামলা-মামলা দিয়ে তাদের বিভিন্নভাবে অত্যাচার ও জুলুম চালিয়ে আসছে। এছাড়া তন্নী হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা তুলে না নিলে পুরো পরিবারকে কঠিন ফল ভোগ করতে হবে বলে আসামীদের স্বজনরা প্রতিনিয়ত হুমকি-ধামকি দেয়।
এতে তন্নীর পরিবার অত্যন্ত আতঙ্ক ও অনিয়শ্চয়তার মধ্যে দিনাতিপাত করছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত রবিবার মতিউর রহমান ও আঃ রশিদ খানের সন্ত্রাসীর কালাম, আরিফসহ ১০/১২ জন মামলার স্বাক্ষী না দিতে শহিদ খান ও মামলায় সহযোগীতা না করতে তন্নীর স্বজন মহিমকে হুমকি দেয়। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাদের কুপিয়ে জখম করে।
এ সময় স্থানীয়রা এগিয়ে এসে সন্ত্রাসী কালাম ও আরিফকে আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে কোতোয়ালী মডেল থানায় খবর দিয়ে তাদের পুলিশে সোপর্দ করে। শুধু তাই নয় মামলা তুলে নিতে এ পর্যন্ত সাকিলের চাচা অঃ রশিদ খান ও বাবা মতিউর রহমান খান তন্নীর পরিবারের উপর চাঁদাবাজি ও ধর্ষণ চেস্টা, চুরি, ছিনতাই, হুমিকসহ ১০টি মামলা দায়ের করে।
এসব মামলায় তন্নীর পরিবারের সহযোগীদেরও আসামী করা হয়। বর্তমানে তন্নীর বাবা দিনমজুর টুনু পালোয়ান মিথ্যা মামলায় জর্জরিত হয়ে অসহায় জীবনযাপন করছে। একদিকে মেয়েকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করার মামলা চালাতে হয়। অপরদিকে তার পরিবারের উপর মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এতে তাকে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ ঘটনায় কোতোয়ালী মডেল থানার এসআই সুলতান জানান, ঘটনাস্থলে এসে আমরা আহতদের উদ্ধার করে মেডিকেলে ভর্তি করি। মামলার অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply