সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৬ অপরাহ্ন
ভোলা প্রতিনিধি॥ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এমপি বলেছেন, আমি বাণিজ্যমন্ত্রী থাকাকালীন যে স্বর্ণনীতিমালা তৈরি করেছি তাতে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ বহির্বিশ্বে স্বর্ণালঙ্কার রপ্তানি করে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সক্ষম হবে এবং দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।শনিবার (৩১ আগস্ট) সকালে ভোলা জেলা জুয়েলারি মালিক সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির নেতারা তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেছেন।
এ দিন সকালে তোফায়েল আহমেদের ঢাকাস্থ বনানীর বাসভবনে ভোলা জেলা জুয়েলারি মালিক সমিতির নবনির্বাচিত পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অবিনাশ নন্দির নেতৃত্বে নতুন কমিটির নেতৃবৃন্দ সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে দেখা করেছেন। এ সময় নেতারা তোফায়েল আহমেদের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সাজ জুয়েলার্সের মালিক উত্তম কুমার দে, লোকনাথ গোল্ড হাউজের মালিক মহাদেব চন্দ্র দে, ডায়মন্ড জুয়েলার্সের মালিক পরেশ চন্দ্র দাস খোকন, রাজলক্ষ্মী জুয়েলার্সের মালিক রতন পোদ্দার, চন্দন জুয়েলার্সের মালিক শ্যাম রায়, ভাই ভাই জুয়েলার্সের মালিক হরিপদ দে, গোল্ডকুইন হাউজ এর মালিক সঞ্জয় কুমার দে প্রমুখ।
পরে সমিতির সাধারণ সম্পাদক অবিনাশ নন্দি বলেন, তোফায়েল আহমেদ বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকাকালীন একটি যুগোপযুগী স্বর্ণনীতিমালা করেছেন। ওই নীতিমালা চালুর ফলে ব্যবসায়ীরা সরাসরি বিদেশ থেকে স্বর্ণ আমদানি করার সুযোগ পায়। তা ছাড়া স্বর্ণব্যবসায়ী এবং অলংকার প্রস্তুতকারীদের জন্য আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে অলংকার প্রস্তুত এবং স্ব-স্ব অলঙ্কারে প্রস্তুতকারীর সিল থাকার নির্দেশনাও ছিল ওই নীতিমালায়।
তিনি বলেন, এর আগে দেশে কোনো স্বর্ণ নীতিমালা ছিল না। ব্যবসায়ীরা সরাসরি স্বর্ণ আমদানি করতে পারতেন না। ফলে ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন সময় হেনস্তার শিকার হতেন এবং সবসময় আতঙ্কের মধ্যে থাকতেন। কিন্তু স্বর্ণ নীতিমালা চালু হওয়ার পর ব্যবসায়ীরা এখন স্বাচ্ছন্দে ব্যবসা করতে পারছেন। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে প্রস্তুত করায় দেশের স্বর্ণালঙ্কার এখন বিদেশেও সমাদৃত হচ্ছে।
স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের ব্যবসার ক্ষেত্রে অভাবনীয় এক স্বর্ণালী যুগের সূচনা করে দেওয়ায় ভোলার ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
Leave a Reply