রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৯ অপরাহ্ন
তালতলী প্রতিনিধি॥ বরগুনার তালতলীতে বহুল আলোচিত একটি বক্স কালভার্ট নির্মাণাধীন অবস্থায় ডেবে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার করইবারিয়া ইউনিয়নের ঝারাখালী গ্রামের এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ঝারাখালী গ্রামে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল এলজিইডির আওতায় একটি বস্ক কালভার্ট নির্মাণ হচ্ছে। নিম্নমানের ইট, নরম কাঁদা মাটির উপরে কালভার্ট এর ভিত্তিস্থাপনা নির্মাণ, খালের নোনা পানি দিয়ে সিমেন্ট ও বালির মিশ্রণে ঢালাই সহ নানা ধরনের অনিয়মের মধ্য দিয়েই কালভার্ট নির্মাণ কাজ চলছে। কালভার্টের কাজ প্রায় ৯০% শেষ হয়ে গেছে কিন্তু কাজ শেষ না হতেই নির্মাণাধীন অবস্থায় কালভার্টের একদিক ডেবে গিয়েছে। এই কারণে যে কোন মুহূর্তে কালভার্টটি ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঝারাখালী গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের চলাচলের জন্য এখানে একটি আয়রন ব্রিজ ছিল। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ওই ব্রিজ নির্মাণের ২ বছর পড়ই ডেবে গিয়ে ভেঙে যায়।
এখন এই কালভার্ট নির্মাণেও নিম্নমানের সামগ্রী ও নরম কাঁদা মাটির উপরে নির্মাণ করছে এ নিয়ে এলাকাবাসী কয়েকবার বাধা দিয়েছিল। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ার আহম্মদ আলী কোন ব্যবস্থা না নিয়ে ঠিকাদারকে সায় দিয়ে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে এই কালভার্ট নির্মাণ করে। যার কারণে নির্মাণাধীন অবস্থায় এই কালভার্টের পশ্চিম দিক থেকে প্রায় দুই থেকে তিন ইঞ্চি ডেবে গেছে। যেকোনো সময় ভেঙে পড়ার আশঙ্কা আছে।
ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা জসিম মোল্লা, ওমর ফারুক, মজিবুর রহমান, আবুল কাসেম গাজী বলেন, কালভার্টটি নির্মাণের শুরু থেকেই নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করেছে আর কাজ শেষ হতে না হতেই কালভার্টটির পশ্চিম দিক প্রায় দুই থেকে তিন ইঞ্চি ডেবে গেছে। কালভার্টের সামনে থেকে মাটি সরিয়ে ফেলার কারণে কালভার্টে এখন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। যে অবস্থা তাতে এই কালভার্ট এবছর আষাঢ় মাসের বৃষ্টিতে ভেসে যাবে।
ঠিকাদার মো. বাদশার সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে চাইলেও তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে তালতলী এলজিইডি প্রকৌশলী আহম্মদ আলী বলেন, ঘটনাটি আমি জানিনা তবে খোঁজ নিয়ে আপনাদেরকে জানাব।
জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী এস, কে, আরিফুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমি এখনি খোঁজখবর নিচ্ছি।
উল্লেখ্য, এ বিষয়ে গত ১১ ই মার্চ (বৃহস্পতিবার) তালতলী এলজিইডি প্রকৌশলী আহম্মদ আলির কাছে তথ্য চাইতে গেলে তিনি সাংবাদিকদের তথ্য না দিয়ে তার পিয়ন শাকিলকে দিয়ে সাংবাদিকদের মারধর ও লাঞ্ছিত করে। এ ঘটনায় সাংবাদিকরা থানায় সাধারণ ডায়েরি ও মানববন্ধন করে যা বহুল প্রচলিত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার ও প্রকাশিত হয়।
Leave a Reply