বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:১৫ পূর্বাহ্ন
উজিরপুর প্রতিনিধি॥ উজিরপুরে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে চোরের উপদ্রব। রাতের পর রাত বিভিন্ন এলাকায় চোর হানা দিলেও থানা পুলিশ টহল বাড়াচ্ছে না। এমনকি অভিযোগ পেলেও ব্যবস্থা না নেওয়া অভিযোগ রয়েছে। এতে করে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বৃদ্ধি পাচ্ছে। ছড়িযে পড়ছে নানা ধরণের গুজব। যাতে করে উপজেলায় ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা।
সর্বশেষ বুধবার (২১ অক্টোবর) দিনগত রাতে উজিরপুর উপজেলার দুটি গ্রামের পাঁচটি বাড়িতে চোর হানা দেয়। বড় কিছু নিয়ে যেতে না পারলেও প্রত্রেক ঘরেই চুরির চেষ্টা চালায় সংঘ বদ্ধ চোরচক্র।
জানা গেছে, মাঝ রাত থেকে শেষ রাতের মধ্যে দক্ষিণ শিকারপুর এবং শিকারপুর গ্রামে চোরচক্র হাজির হয়ে কারও ঘরে সিঁধ কাটে, কারও ঘরের বেড়া (দেয়াল) কেটেছে, আবার কারও ঘরের দরজা খুলে ভিতরে ঢুকেছে। কিন্তু ভাগ্যক্রমে বাসিন্দারা জেগে যাওয়ায় পালাতে বাধ্য হয় সংঘবদ্ধ চোরচক্র।
এরমধ্যে দক্ষিণ শিকারপুর গ্রামের সাংবাদিক সৈয়দ জাহিদ আলমের ঘরে সিঁধ কেটে চুরির চেষ্টা চালায়। তার প্রতিবেশী সৈয়দা হেলেনার ঘরের বেড়া ছুটিয়ে ঘরে প্রবেশ করে এবং মনোতোষ শীলের ঘরের জানালা খুলে ঘরে ঢোকার চেষ্টা চালায়। মাঝরাতে এই উপদ্রবে পুরো গ্রামের লোক সজাগ হয়ে যায় এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। শেষে চোরচক্র ওই গ্রামে ছেড়ে পাশেই শিকারপুর গ্রামে হানা দেয়। সেখানে সেন্টু খানের ঘরের বেড়া কাটে এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা নীল খানের পরিত্যাক্ত ঘরের দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে মালামাল নেওয়ার চেষ্টা চালায়। কিন্তু দক্ষিণ শিকারপুর গ্রামের মানুষের হাকডাকে শিকারপুরের মানুষও সজাগ হয়ে যাওয়ায় চোরদের সটকে পড়তে বাধ্য হতে হয়।
ভূক্তভোগী পরিবারগুলো বলছে, শুধু এই রাতে নয়; এর আগেও এমন ঘটনা ঘটছে। চোরের উপদ্রবে শিকারপুরের মানুষ অতিষ্ট। থানায় অভিযোগ দিলেও কোন কাজে আসছে না। কিছুদিন আগে গরু চুরি হলেও তার কোন হদিস করতে পারছে না পুলিশ। এমনকি এলাকায় টহলও বাড়াচ্ছে না।
এ বিষয়ে ওসি জিয়াউল হক বলেন, লিখিত কোন অভিযোগ এখনো পাইনি। তবে মৌখিক অভিযোগ হলেও বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।
Leave a Reply