রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৭ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ সময় এখন বড্ড খারাপ। চারদিকে করোনার ফণা, মৃত্যুর খবরে আকাশ-বাতাস ভীষণ ভারী। সব ক’টা জানালাও বন্ধ। দূর থেকে হঠাৎ সাইরেন বাজতেই জেগে উঠছে ছোট্র কোনো নতুন জীবন। মায়ের ভালোবাসার ছোঁয়ায় আবার সে ঘুমিয়ে পড়ছে। তারই মাঝে ফেরিওলার হাঁকডাক আবারও ঘুম থেকে উঠে গেল শিশুটি। এবার আর ঘুমাবে না সে। খুব অভিমান।
কেন যে এই সুন্দর পৃথিবী এভাবে ক্ষণে ক্ষণে তার রূপ বদলায়। কোনো রাতের সাথে নেই কোনো রাতের মিল। কোনো মানুষের সাথেও নেই মানুষের। নেই তো মনে মনেও মিল। এই অমিলের দুনিয়ায় তবু মিলের খোঁজে ছুটে চলা।ঘর বাঁধা আবার ঘর ভাঙা-নদীর তীরের মতোই চলে জীবনেরও এই খেলা। বাস্তবিকভাবে প্রতিটা জিনিসেও যেন এমন মিল অমিলের ছোঁয়া পাওয়া যায়। কেউ স্বপ্ন দেখেন কেউ আবার স্বপ্ন ভাঙেন। যে যাকে চায় হয়তো দিন শেষে তাকে আর পায় না। আবারও কখনো পেয়েও যায়।
দেখুন না সিনেমায় কত রঙ, কত হাসি আর কত কান্না। যদি দুটি চরিত্রকে আজ হাজির করি আপনাদের সামনে। এক সৃজিত, আরেক জয়া। নিশ্চয়ই চিনতে কষ্ট হচ্ছে না। চেনাটা স্বাভাবিক। দুজনই কিন্তু অভিনয় জগতের মানুষ। আর সেই খাতিরেই পরিচয় তাদের।
এরপর একটু একটু করে জানাশুনা। বন্ধুত্ব সেখান থেকে নাকি প্রেমও হয়েছে। শোবিজ পাড়ায় কান পাতলেই এমন গুঞ্জন শোনা যায়। আর প্রেমের পর যা হয় আরকি। ফ্ল্যাট, রাত….আবার পার্টিতে যাওয়া।
জানেন, ঢাকায় জয়া যে বাসায় থাকেন সেটা কিন্তু সৃজিতের পুরোই তটস্থ। কিভাবে হলো? আপনি নিশ্চয়ই না গেলে কোনো পথ চেনার কথা না! বাকিটা না-ই বললাম।
এক সাক্ষাৎকারে জয়াকে এভাবে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘আপনার (জয়া) বাড়ির যে অ্যাড্রেসটা হোয়াটসঅ্যাপ করেছিলেন, সেটা দেখে বুঝতে পারছিলাম না আপনার ফ্ল্যাটটা কোথায়?’
জয়ার উত্তর, ‘ওহ, আই অ্যাম সো সরি।’ এরপর প্রশ্ন কর্তার কথা, ‘ঠিকানা বুঝতে না পেরে সৃজিত মুখোপাধ্যায়কে ফোন করি। সৃজিত এক নিশ্বাসে জানাতেও শুরু করেছিলেন কোথায় আপনার বাড়ি।’ এই লাইন শুনে হাসি ধরে রাখতে পারেনি জয়া। সেই সাথে ছোট্র দুই শব্দ, ‘সৃজিত খুব সুইট।’
কী ডাল মে কুচ কালা হ্যায়! শুধু তাই নয় বাংলাদেশে খুব একটা আসা হতো না জয়ার। বছরের বেশিরভাগ সময় তিনি কলকাতায় কাটাতেন। আর মাঝে মধ্যে বাংলাদেশে আসলেও সৃজিত বেশ খোঁজ খবর নিতেন জয়ার। কি করছো, খেলে, পানি বেশি খেও, দ্রুত ঘুমিয়ে যেও না হলে শরীর খারাপ করবে। কি এসব বলেন আপনার স্ত্রীকে?
ওই আরকি এভাবেই বলা। আবারও প্রমাণ হাজির করছি। আরেকটা সাক্ষাৎকারে জয়াকে প্রশ্ন, ‘শুনেছি বাংলাদেশে থাকলে সৃজিত প্রায়ই আপনাকে ফোন করেন?’ জয়ার উত্তর, ‘(হাসি) ও তো বন্ধু। আমাকে ফোন করতেই পারে।’
ওই জাস্ট ফ্রেন্ড আরকি? জানেন তো এই জাস্ট ফ্রেন্ডের ইতিকথা। আরেকদিন বলবো। আজ এ পর্যন্তই।
Leave a Reply