রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০২ অপরাহ্ন
আমতলী প্রতিনিধি॥ ঘূর্ণিঝড় ইয়াস চলে যাওয়ার পর চলছে রেখে যাওয়া ক্ষত চিহ্ন মেরামতের কাজ। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের ১৬ হাওলাদার খাল সংলগ্ন জলকাপাট ও বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ৮টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে।
বৃহস্পতিবার (২৭ মে) পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধানে ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধটিতে মাটি ভর্তি বস্তা ফেলে মেরামত কাজ শুরু করা হয়েছে।
গত বুধবার ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার জো’য়ের প্রভাবে পায়রা নদীসহ সকল ছোট-বড় খালের পানি বিপদসীমার ৬২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ওই দিন জোয়ারের পানির চাপে উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের ১৬ হাওলাদার খাল সংলগ্ন জলকপাট ও বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ওই ইউনিয়নের কলাগাছিয়া, হরিদ্রাবাড়িয়া, গুলিশাখালী, কালিবাড়ী, ফকিরখালী গ্রামসহ ৮টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পরে।
জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব কেটে গেলেও ভরা পূর্ণিমার কারণে পায়রা নদীসহ ছোট-বড় খালের পানি বিপদসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এ কারণে পানিবন্দি মানুষের কষ্ট লাগবে দ্রুত ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধটি মেরামতের কাজ করা হচ্ছে।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আজিজুর রহমান সুজন বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধটির দ্রুত সংস্কার কাজ চলছে।
গুলিশাখালী ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. নুরুল ইসলাম মিয়া বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের ১৬ হাওলাদার খাল সংলগ্ন জলকপাট ও বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ৮টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। তাই ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধটি সংস্কারের কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
Leave a Reply