সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ সিন্ডিকেটের কারণে বিএনপির ভ্যানগার্ড খ্যাত ছাত্রদলকে নিয়ে বেকায়দায় পড়েছে দলটির নীতিনির্ধারকরা। এছাড়া বয়স্ক, বিবাহিত ও নিষ্ক্রিয়দের অবস্থান থাকা নিয়েও ছাত্রদলে রয়েছে অভ্যন্তরীণ কোন্দল।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ছাত্রদলের কার্যকারিতা হারিয়ে গেছে অনেক আগেই। তারা ক্যাম্পাসগুলোতে এখন পর্যন্ত সহাবস্থান গড়ে তুলতে পারেনি। এমনকি তারা সংগঠিতও নয়। প্রতিটি ক্যাম্পাসেই অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জর্জরিত ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না করে ও রাজপথ ছেড়ে তারা এখন ভার্চুয়াল রাজনীতিতে বেশি ঝুঁকে পড়েছে। আন্দোলন-সংগ্রামের পরিবর্তে ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফটোসেশনে বেশি ব্যস্ত তারা। জেলা উপজেলার ছাত্রনেতাদের চেয়ে কেন্দ্রীয় নেতারা বয়স ও অভিজ্ঞতায় জুনিয়র হওয়ায় কেন্দ্রীয় কমান্ড মানছেন না তারা। ফলে লেজেগোবরে অবস্থা ছাত্রদলের।
এছাড়া বয়স্ক, বিবাহিত ও নিষ্ক্রিয়দের অবস্থান থাকায় অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে সম্প্রতি মহানগর উত্তর ছাত্রদলের আওতাধীন সব কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। ছাত্রদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এসএম মিজানুর রহমান রাজ ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন রুবেল শনিবার এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন।
ছাত্রদল সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রদলের উপর কর্তৃত্ব বজায় রাখতে অনুগত বয়স্ক, বিবাহিত নেতাদের ছাত্রদলের কমিটিতে স্থান দিতে নানা মহলে দৌড়ঝাঁপ করছেন কিছু সিনিয়র নেতা। যার কারণে অবিবাহিত ছাত্রনেতারা ক্ষুব্ধ প্রতিকার চেয়ে চিঠি দিয়েছেন নীতিনির্ধারকদের কাছে। বয়স্ক ও নিষ্ক্রিয় নেতাদের ছাত্রদলের পদ দিলে তরুণ ও অবিবাহিতরা রাজনীতিতে আসতে অনুৎসাহিত হবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন বলেন, দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই ছাত্রদলকে পুনর্গঠিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। যেহেতু আমরা একটা সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি তাই বিবাহিত-অবিবাহিত ছাত্রদের নিয়ে এখন ভাবছি না। তবে ছাত্রদলের নিষ্ক্রিয় কাউকে স্থান দেয়া হবে না।
সিন্ডিকেটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছাত্রদলকে কারো ব্যক্তিগত বাহিনীতে পরিণত করতে দেয়া হবে না। আমরা ছাত্রদলকে গতিশীল করতে চাই।
Leave a Reply