রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৩ অপরাহ্ন
ভোলা প্রতিনিধি।। ভোলায় জেলেদের পূর্নবাসনের চাল আনতে গেলে ইউপি মেম্বার ও চেয়ারম্যানের ড্রাইভারের নেতৃত্বে জেলেদের উপর হামলা চালিয়ে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহতদেরকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে জেলে হেলাল উদ্দিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকালে ২নং পূর্ব ইলিশা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার ২নং পূূর্ব ইলিশা ইউনিয়ন পরিষদে ৮নং ওয়ার্ডের প্রায় ২১৭জন জেলে পূর্নবাসনের চাল আনতে যায়। ৮নং ওয়ার্ডের জেলেদের চাল দেওয়া হবে না বলে ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুল বারেক, ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ লোকমান ও চেয়ারম্যানের ড্রাইভার বাবলু জানিয়ে দেয়।
\এতে জেলেরা প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করে। এক পর্যায়ে ইউপি সদস্য আবদুল বারেক, মোঃ লোকমান ও চেয়ারম্যানের ড্রাইভার বাবলুর নেতৃত্বে ১০/১২জন মিলে জেলেদের উপর এলোপাথারী হামলা চালায়। হামলায় জেলে মোঃ হেলাল উদ্দিন, মোঃ আলাউদ্দিন, মোঃ রাসেল গুরুতর আহত হয়। এদের মধ্যে হেলাল উদ্দিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকীদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আহত জেলে আলাউদ্দিন ও রাসেল বলেন, আমরা ইউপি পরিষদে চাল আনতে গেলে বারেক মেম্বার, লোকমান মেম্বার ও ড্রাইভার বাবুল আমাদেরকে চাল দিবে না বলে জানায়। এতে আমরা প্রতিবাদ করলে তারা আমাদের উপর এলোপাথারী হামলা চালায়। আমাদের মধ্যে হেলাল উদ্দিনকে বেধম পিটিয়ে আহত করা হয়। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি।
৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আবদুর রহমান বলেন, সরকার মেঘনা-তেঁতুলিয়ায় মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা জারী করে। ওই সময় জেলেদের পূর্নবাসনের জন্য সরকার তিন ধাপে ৪০ কেজি করে চাল বরাদ্দ করে। আমার ওয়ার্ড ব্যতীত সব ওয়ার্ডের জেলেদেরকে চাল দেওয়া হয়। প্রথম ধাপে চাল বিতরণ শুরু হলে আমার ওয়ার্ডের ২১৭জন জেলের মধ্যে ২০জনকে ৪০ কেজির যায়গায় ১২কেজি করে চাল দেওয়া হয়। ১২ কেজি চাল দেওয়ায় জেলেরা চাল রেখে চলে আসে এবং বিক্ষোভ মিছিল করে।
যা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় নিউজ এসেছে। মঙ্গলবার (১৪ মে) চাল বিতরণ শুরু হলে আমার ৮নং ওয়ার্ডের প্রায় ২১৭জন জেলে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে চাল আনতে গেলে তাদেরকে চাল দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হলে জেলেরা প্রতিবাদ জানায় এবং বিক্ষোভ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইউপি সদস্য আবদুল বারেক, ইউপি সদস্য মোঃ লোকমান ও চেয়ারম্যানের ড্রাইভার বাবলুর নেতৃত্বে ১০/১২জন মিলে জেলেদের উপর এলোপাথারী হামলা চালায়।
হামলায় জেলে হেলাল উদ্দিন, আলাউদ্দিন, রাসেল গুরুতর আহত হয়। হেলাল উদ্দিনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান ও কিছু মেম্বারের স্বেচ্ছাচারিতায় আমার ওয়ার্ডের জেলেদের পূর্নবাসনের চাল দেওয়া হয়নি। এখন পর্যন্ত আমার ওয়ার্ডের কোন জেলে পূর্নবাসনের চাউল পায়নি। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য আবদুল বারেক বলেন, আপনার টেক অফিসারের সাথে যোগাযোগ করে দেখেন গতকাল আমরা সাড়ে ৩’শ জেলেকে চাল দিয়েছি। বিকেল ৪টা পর্যন্ত চাল বিতরণ করা হয়েছে। প্রত্যেক জেলে চাল পেয়েছে। আমরা কাউকে মারধর করিনি। তারা হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হলে তো আমাদের কিছু করার নাই। আমাদের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। অপর অভিযুক্ত লোকমান মেম্বার ও ড্রাইভার বাবলুর সাথে যোগাযোগ করে তাদেরকে পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply